আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলায় এবার অতিরিক্ত কোরবানির পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে ইজারাকৃত হাটগুলোয় সপ্তাহে সাতদিনই পশু বিক্রি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। গতকাল বিকালে বণিক বার্তাকে এসব কথা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর হাট বসানোর বিষয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জেলার মানুষকে সুরক্ষা দিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় শুধু ইজারাকৃত বড় হাটগুলোতেই পশু বেচা-বিক্রির অনুমতি দেয়া হবে। তবে জেলায় নতুন করে অস্থায়ী কিংবা ভ্রাম্যমাণ কোনো পশুর হাট বসানোর সুযোগ দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু এবারের কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কম, সেহেতু হাটগুলো স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সপ্তাহে সাতদিনই পরিচালনা করতে পারবেন ইজাদাররা। এজন্য হাটে পশু রাখার ঘর তৈরি করে দিতে হবে। তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতারা যেন পছন্দের পশুটি ক্রয় করে নিতে পারেন সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইজাদারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনলাইন কোরবানির পশু বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অ্যাপসের ব্যবস্থা নেই। খামারিরা নিজেরাই অনলাইনের মাধ্যমে তাদের পশু বিক্রি করতে পারেন। এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জেলাবাসীকে সুরক্ষা দিতে প্রশাসনের দিকনির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।