এই সময়ের নায়কদের আত্মবিশ্বাস কম -অমিত হাসান

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক অমিত হাসান। একক নায়কের পাশাপাশি কাজ করেছেন আলমগীর, জসিম, মান্না, বাপ্পারাজ, রিয়াজসহ অনেকের সঙ্গে। তার অভিনীত ব্যবসা সফল ছবির সংখ্যাও কম নয়। এখনও নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। তবে এখন নায়ক নন, খলনায়ক চরিত্রেই তাকে বেশি পাওয়া যায়। আপনার চলতি ব্যস্ততা কেমন চলছে? উত্তরে অমিত হাসান বলেন, বেশ ভালো। তবে খল চরিত্রেই বেশি কাজ করছি। ইতিবাচক চরিত্রেও করছি, তবে কম।
‘বিক্ষোভ’ শিরোনামের একটি ছবিতে পজেটিভ চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে। আর নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করা সহজ নয়। দর্শক আমাকে ভালোবেসে নায়ক-খলনায়ক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সামনে আরো ভালো কিছু কাজ করতে চাই। এই সময়ের ছবিগুলোতে একাধিক নায়কের উপস্থিতি নেই। একক নায়ক নির্ভর ছবিই হচ্ছে। এর কারণ কী? উত্তরে অমিত হাসান বলেন, এই সময়ের নায়কদের আত্মবিশ্বাস কম। অন্যের সঙ্গে অভিনয় করতে ভয় পায়। তারা ভাবে সহ নায়ক যদি তার চেয়ে ভালো করে, তাহলে দর্শক তাকে নেবে না। কিন্তু আমাদের সেই সময়ে নিজেরাই একে অন্যের সাথে অভিনয় করতাম। কে কত ভালো কাজ করতে পারি তার একটা প্রতিযোগিতা হতো। আমার অভিনীত ‘ভুলোনা আমায়’, ‘পাগলীর প্রেম’, ‘ভালোবাসার ঘর’সহ অনেক ব্যাবসা সফল ছবি আছে। যেগুলোতে আমি ছাড়া আরো নায়ক আছেন। এখন এক নায়কনির্ভর ছবি হওয়ায় গল্পেও বৈচিত্র আসছে না। প্রায় সব ছবি একই রকম হচ্ছে। এই সময়ে আমাদের চলচ্চিত্র আসলে কোন দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন? অমিত বলেন, করোনার কারণে চলচ্চিত্রে বড় একটা ধস নেমেছে। এখান থেকে উঠে আসতে সময় লাগবে। এর জন্য নিয়মিত ছবি নির্মাণ করতে হবে। ইন্ড্রাস্ট্রি সচল রাখতে হবে। চলতি বছরের শুরু থেকে অল্প বাজেটের ছবি নির্মাণ হচ্ছে বেশি। এটিকে কিভাবে দেখছেন? এই অভিনেতা বলেন, যারা এখন কম বাজেটের ছবি বানাচ্ছেন তারা এক সময় বেশি বাজেটের ছবি নির্মাণ করেছেন। আগামীতেও করবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু এখন কোটি টাকার ছবি দেখানোর পরিবেশ কোথায়! আমি অল্প বাজেটের কাজগুলোকে সাধুবাদ জানাই। এর মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা হচ্ছে। একটু সচল হলে সবাই বাজেট বাড়াবে। আর একটা কথা, কোটি টাকা বাজেট হলেই ছবি কিন্তু ভালো হয় না। এদিকে আগামী ১২ই মার্চ মুক্তি পাচ্ছে অমিত হাসানের ‘তুমি আছ তুমি নাই’ ছবিটি। এ ছাড়াও এই অভিনেতার হাতে আছে ‘সীমানা’, ‘যন্ত্রনা’ ও ‘মাসুদ রানা’ শিরোনামের ছবিগুলো।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *