সোমবার ২২ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে লেখা ওই চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে সমস্ত নাগরিককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রতিবেশী দেশ হিসাবে পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে আগ্রহী ভারত। তবে সন্ত্রাস ও বৈরিতা কাটিয়ে এ জন্য পারস্পরিক বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। কোভিডের মোকাবিলায় পাকিস্তানের প্রয়াসকেও অভিনন্দন জানান মোদি। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা অটুট রাখতে ভারত-পাক সুষ্ঠু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জরুরি মনে করে এর আগে অটলবিহারী বাজপেয়ী উদ্যোগ নেন। একই প্রচেষ্টা নেন মনমোহন সিংহ। বাজপেয়ী লাহোর বাসযাত্রার মাধ্যমে দু’দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেয়েছিলেন। মনমোহন এক ধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, সীমান্তকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হোক। ভারত ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে বাণিজ্য চালু হোক। কারণ, আগামী দিনে দুই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপনে অনুঘটকের ভূমিকা নেবে।
[৪] এসব চেষ্টা বিফলে গেছে। সার্ক সম্মেলন ঘিরে একাট্টা হতে পারেনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কূটনৈতিক সম্পর্কের বাইরে গিয়ে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে ব্যক্তিগত সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন।