১১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ইতালিয়ান লিগ সিরি আয় শিরোপা জিতে নিয়েছে ইন্টার মিলান। দলটির এই সাফল্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বেলজিয়াম তারকা রোমেলু লুকাকু। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ইন্তারে আসার পর যার পুনরুত্থানই ঘটেছে বলা চলে। আর সেই সুবাদেই মিলানের দলটি ২০১০ সালের পর ফের লিগ শিরোপার দেখা পেয়েছে।
[৩] ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন লুকাকু। কিন্তু এরপর ম্যান ইউনাইটেডে সময়টা তার ভালো যাচ্ছিল না। শেষ মেষ ২০১৯ সালের আগস্টে ৭৪ মিলিয়ন পাউন্ডে ইতালিতে পাড়ি দেন এই স্ট্রাইকার। ইন্তারে মাউরো ইকার্দির জায়গা পূরণ করা হয় তাকে দিয়ে।
[৪] আর্জেন্টাইন ইকার্দি মাঠে ইন্টারের অন্যতম নির্ভরযোগ্য তারকা ছিলেন। ১৬৯ ম্যাচে দলটির হয়ে করেছেন ১১১ গোল। তবে মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে জড়িয়ে নেতিবাচক খবরের শিরোনামই বেশি হন ইকার্দি।
[১] পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় অগ্নিকাণ্ডে নবদম্পতি লাইফ সাপোর্টে ≣ স্বকৃত নোমান: এখন শোনা যাচ্ছে মামুনুল হক তার বাবার শেষ স্ত্রীকেও বিয়ে করেছিল। ≣ [১] ডেমরার অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার: গ্রেফতার ২
[৫] ইউনাইটেডে লুকাকু আবার মাঠের পারফরম্যান্সে মোটেও মন ভরাতে পারছিলেন না সমর্থক থেকে শুরু করে ক্লাব সংশ্লিষ্টদের। তার দুই বছরের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড অধ্যায়ে সব মিলে ৯৬ ম্যাচে ৪২ গোল। যার ২৬ শতাংশই অবশ্য প্রথম দুই মাসে।
[৬] সময়ের সাথে সাথে ইংল্যান্ডে লুকাকুর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। ২৭ বছর বয়সী তারকা তাই ইন্তারে পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। যে চ্যালেঞ্জে দারুণভাবে জয়ী তিনি। এমনকি ইকার্দির চেয়েও গোল স্কোরিং রেটে এগিয়ে লুকাকু। শিরোপ জিতে যার সুফল পেল ইন্টার। সেই সঙ্গে সিরি আয় ৯ বছরের আধিপত্য ক্ষুণ্ন হলো জুভেন্টাসের।
[৭] ২০১৮-১৯ মৌসুমে জুভেন্টাসের চেয়ে ২১ পয়েন্ট পেছনে থেকে লিগ শেষ করে ইন্টার। কিন্তু লুকাকু ও কোচ আন্তোনিও কান্তের ছোঁয়ায় গত মৌসুম শেষ করে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে। আর এবার তো চার ম্যাচ হাতে থাকতেই শিরোপা ঘরে তুলেছে দলটি।
[৮] এক আর্জেন্টাইনের অভাব পূরণ করতে এসে নিজের পুনরুত্থানের গল্প লিখেছেন লুকাকু। এর পেছনে আবার এক আর্জেন্টাইনের সহায়তাও রয়েছে। তিনি লৌতারো মার্তিনেজ। ইন্টারে মার্তিনেজ-লুকাকু রসায়নটা ছিল চমৎকার। যে সহায়তা ম্যান ইউনাইটেড বা এভারটনে পাননি লুকাকু।
[৯] এবার ইন্টারের হয়ে শিরোপা জয়ের আগে লুকাকুর একমাত্র ক্লাব শিরোপা ছিল ২০০৯-১০ মৌসুমে বেলজিয়াম প্রো লিগ জয়। তাই ইন্টারের এই শিরোপা শুধু ক্লাবটির প্রতিক্ষার অবসানই ঘটায়নি, লুকাকুও নিজেকে নিখুঁত প্রমাণ করেছেন। ক্লাব-খেলোয়াড়ের এই সাফল্য যোগেই উৎসবের জোয়ার বইছে ইন্টার সমর্থকের মাঝে।