নতুন এক গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে যে, আস্তে আস্তে ঘ্রাণশক্তি হারাতে পারে মানুষ। মাস্ক এবং শরীরের ঘ্রাণ গ্রহণকারী দুটি রিসেপটরের ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণ দেখতে পেয়েছেন গবেষকরা। ঘ্রাণ সম্পর্কিত রিসেপটর বায়ুবাহিত রাসায়নিক, যা আমাদের নাকে প্রবেশ করে, তাকে শনাক্ত করতে পারে মানুষ। কিন্তু ঘ্রাণ গ্রহণকারী রিপেটর এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে দ্রুত অনেক বেশি পরিবর্তিত হতে পারে। ২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে প্রতি দু’জন মানুষের গায়ের গন্ধ গ্রহণের জিনের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ কার্যকলাপের পার্থক্য আছে। এ থেকে ব্যাখ্যা করা যায় যে, কেন কিছু মানুষ দ্রুততার সঙ্গে গন্ধ বা ঘ্রাণ পান, যখন তার পাশের জন ঘ্রাণ শনাক্তই করতে পারেন না।
বিজ্ঞান বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, সাংহাই ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড হেলথের বিঙ্গজি লাই এবং তার সহকর্মীরা ১০০০ হ্যান চাইনিজ নাগরিক এবং নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী ৩৬৪ জন জাতিগত বৈচিত্রময় মানুষের কাছে ১০টি ঘ্রাণ সম্পর্কে জানতে চান। এর মধ্যে আছে দু’জন ঘ্রাণ, যা মানুষ সাধারণত আলাদাভাবে নেয়।
একটি হলো গ্লাক্সোলিড নামের একটি সিনথেটিক মাস্ক এবং শরীরে, বিশেষত বগলের গন্ধ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ অনু। এ গবেষণায় যা দেখা যায়, তা হলো দীর্ঘমেয়াদে মানুষের ঘ্রাণ সম্পর্কিত বিষয়। এতে বলা হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জিনের পরিবর্তন হয়। তার পরে আমাদের ঘ্রাণেন্দ্রীয়ের সঙ্গে যুক্ত রিসেপটরে যেসব জিন থাকে তা দুর্বল হয়। ফলে মানুষের ঘ্রাণশস্তি কমতে থাকে। তবে সবাই এই তত্ত্বে বিশ্বাস করেন এমন নয়।