রংপুরের বদরগঞ্জে রাতের আঁধারে এক কৃষকের বাগানের ২৬টি ফলজ আমগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকায় ওই আম গাছ কর্তনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কৃষক নয়ন মিয়া দু’জনের নাম উল্লেখসহ তিন চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নয়ন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৭৫ শতাংশ জমিতে ৫-৭ বছর আগে হাড়িভাঙ্গা আমের চারা রোপন করি। পরিচর্যা করায় গাছে আম আসা শুরু হয়। কিন্তু সম্প্রতি ওই জমি জবর দখলের চেষ্টা করেন সাদরুল আমিন পাইকাড় ও তার পরিবার। সাদরুল আমার আপন চাচা। তিনি জমি দখল করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে পাঁচ-ছয়জন আমার ৭৫ শতক জমির মধ্যে ৪৫ শতক জমির ২৬টি ফলজ আম গাছ কেটে ফেলে। এ সময় আমার বর্গাচাষী কায়েম উদ্দিন সেখানে ধান ক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে দু’জনকে চিনে ফেলে। এই দু’জন হচ্ছেন আমার চাচা সাদরুল আমিন পাইকাড় ও চাচাতো ভাই শাহিন পাইকাড়। নয়ন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আম গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা! এ ব্যাপারে সাদরুল আমিন পাইকাড়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে শাহিন পাইকাড় বলেন, ‘নয়নের গাছ আমরা কাটিনি। বরং তিনি এবং তার দুই ভাই জান্নাতুল ও তারিফ এক মাসের ব্যবধানে ছয়বার আমার বাগানের সাড়ে চার’শ আমগাছ কেটে ফেলেছেন। আমি নয়ন ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এখনোা মামলা রেকর্ড হয়নি। হয়তো মামলা থেকে বাঁচতে তিনি নিজের গাছ নিজে কেটে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে নয়ন মিয়া বলেন, ‘আমি তাদের গাছ কাটিনি। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হবে। বদরগঞ্জ থানার ওসি হবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। আর একে অপরের বিরুদ্ধে আম গাছ কাটার পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’