আত্মবিশ্বাসী পিয়া

মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপক, ব্যবসায়ী ও আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। মডেল হিসেবেই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে হয়েছিলেন ‘মিস বাংলাদেশ’। এরপর র‌্যাম্প মডেল হিসেবে দেশ-বিদেশের মঞ্চ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। র‌্যাম্পের নাম্বার ওয়ান মডেল থাকা অবস্থায় তিনি সিনেমার নায়িকার খাতায় নাম লেখান। বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করে প্রশংসিতও হন। কাজ করেন নাটকেও। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বখ্যাত ‘ভোগ’ সাময়িকীর প্রচ্ছদের মডেলও হয়েছেন তিনি। যদিও সব সময় পিয়ার স্বপ্ন ছিল আইনজীবী হওয়ার।

সেই স্বপ্নের পথেই হেঁটেছেন। ঢাকার লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন। এদিকে করোনাকালীন সময়ে অন্য সবার মতোই কাজ কম করেছেন পিয়া। তাছাড়া মাস ছয়েক আগেই তিনি পুত্রসন্তানের মা হন। পুত্রের নাম রেখেছেন আরিস। যদিও সন্তান হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের ওজন কমিয়ে প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে এসেছেন। পিয়া বলেন, আত্মবিশ্বাসটা এক্ষেত্রে বড় ব্যাপার। আমি প্রতিটি বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। আরিস হওয়ার পর পরই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট ও জিম করি। যার ফলাফল পাচ্ছি এখন। এখনকার ব্যস্ততা প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, কয়েকটি ব্যবসা সামলাচ্ছি। আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছি। সামনে হাইকোর্টে পরীক্ষা আছে। এর পাশাপাশি সন্তানকে সময় দিচ্ছি। এতকিছুর পরও পছন্দসই কিছু ব্র্যান্ডের কাজ করছি মডেল হিসেবে। ‘মাসুদ রানা’ সিনেমাটি ছেড়ে দিয়েছেন? পিয়া উত্তরে বলেন, হ্যাঁ। কারণ করোনার কারণে বেশ কয়েকবার শুটিং পিছিয়েছে। তাছাড়া বিদেশে শুটিং করতে হবে টানা দেড় থেকে দুই মাস। যেটা আমার পক্ষে সে সময় সম্ভব ছিলা না। কারণ আরিসও ছোট। একটা সময় সিনেমায় নিয়মিত কাজ করেছেন। এখন না করার বিশেষ কারণ আছে? জান্নাতুল পিয়া বলেন, সিনেমায় ডেডিকেশন কিংবা সময় দেয়া আমার জন্য কঠিন। কারণ ব্যবসা দেখতে হয়, প্র্যাকটিস করতে হয়। সে কারণে কাজই কম করছি। পিয়া যোগ করে বলেন, আসলে এখন আমি কাজ শতভাগ মনের মতো হলেই কেবল করছি। গতানুগতিক কাজ করছি না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকাদের বুলিং করা হয় নিয়মিত। বিষয়টি নিয়ে বেশ প্রতিবাদী পিয়া। তিনি বলেন, যারা হতাশায় ভোগে তারাই এমনটা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে যদি পরীমনির বিষয় ধরি তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। পরী ভালো না খারাপ সেটা পরের বিষয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে যেভাবে টানাহেঁচড়া করা হলো তা খুবই অবাক করা। এ ধরনের বিষয় আমাদের এখানেই বেশি হচ্ছে। আমাদের মানসিকতা যতদিন ঠিক না হবে ততদিন এগুলো বন্ধ হবে না।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *