আইটেম গার্ল থেকে নায়িকা হয়ে উঠেছেন বিপাশা কবীর

দেখতে দেখতে বিপাশা কবীরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার প্রায় এক দশকের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এ সময়ে তিনি কতটুকু এগিয়ে নিতে পেরেছেন তার ক্যারিয়ার। পারফর্মিং আর্টের একাধিক শাখাতেই বিচরণ করেছেন বিপাশা। নাটক এবং চলচ্চিত্র – দুই ক্ষেত্রেই তার বিচরণ ছিল অবারিত। তিনি জানান, যতটুকু এগিয়েছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট। বললেন, ‘এ পর্যন্ত তিনি ৫০টি আইটেম গানে অভিনয় করেছেন।’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আইটেম গান তখন প্রকৃতিগতভাবেই আঙ্গিক পরিবর্তন করেছে। আইটেম গান মানেই কিছুটা যৌনাবেদন। ময়ূরীদের সময় দর্শক আইটেম গানের জন্য অপেক্ষা করত।

এই পরিস্থিতি এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। প্রযুক্তি ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করার পর আইটেম গানের দাপট কমে আসে দেশে ও বিদেশে। বিপাশা কবীর সময়োপযোগীভাবেই নিজেকে বদলে ফেলেছেন। তিনি আইটেম গার্ল থেকে হয়ে গেছেন নায়িকা। এই পথ তার অগ্রজরা ধরে রাখতে পারেননি। সময়ের আবর্তে তারা হারিয়ে গেছেন। যৌনাবেদনের বিষয়টি এখন দখল করে নিয়েছে টিকটক ও ইউটিউব। যাহোক, তার অভিনীত মুক্তি পাওয়া ছবির সংখ্যা মাত্র সাতটি। সর্বশেষ মুক্তি পেয়েছে সৈকত নাসির পরিচালিত ‘পাষাণ’। এখন তিনি কাজ করছেন পাঁচটি ছবিতে। এই ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সোলমেট’, ‘গিভ এ্যান্ড টেক’, ‘পরাণে পরাণ বান্ধিয়া’, ‘জিদ্দি মেয়ে’ এবং ‘যার নয়নে যাকে লাগে ভালো’।

তবে নয় বছরে ৫০টি আইটেম গান এবং ১২টি ছবি খুব বড় ধরনের কোনো প্রাপ্তি নয়। বিপাশা কবীর বরাবরই চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী। গ্ল্যামার জগতে গড়ে উঠা জীবনের শুরুতে তার জুনিয়র দেবদাস নামে একটি ছবি করার কথা ছিল। তাতে তিনি পার্বতী চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ন্যান্সির কন্ঠে ছবিটির একটি গান রেকর্ডিং হওয়া পর্যন্তই। প্রযোজক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করার পর কাজটা আর হয়নি। এ ছবিটিতে দেবদাসের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ইমতু রাতিশ। ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতা পর্যন্ত বিপাশার পরিচিতি তেমন একটা ছিল না। ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি বেশ ক’টি নাটকেও অভিনয় করেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘আর যাবোনা এভারেস্ট’, ‘নীল চোখে জ্যোৎস্না’ এবং ‘ফিফটি ফিফটি’।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *