অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের পাঁচটি ঝুঁকি

বর্তমান প্রযুক্তির দুনিয়ায় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে কম-বেশি সবাই। প্রয়োজনে কিংবা অবসর সময় কাটাতে বেশির ভাগ মানুষ এখন মোবাইলের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। এক কথায় বলা চলে, আজকাল মানুষের মোবাইল হাতে না থাকলে এক মুহূর্তও চলা কঠিন। বিনোদন লাভের বড় একটি মাধ্যম এখন মোবাইল। আর এ কারণেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। চলার পথে, আড্ডায়, কর্মস্থলে তো বটেই, ঘরে বসেও মোবাইলে মজে থাকতে দেখা যাচ্ছে ছোট-বড় সবাইকে। ইউটিউবে কোনো গান, অনুষ্ঠান, নাটক-সিনেমা ইত্যাদি দেখার সময় শব্দের কোলাহল এড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে হেডফোন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এ হেডফোন কানে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। তাতে করে শ্রবণেন্দ্রিয়ের ওপর প্রভাব পড়ছে। এ দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহারের রয়েছে পাঁচটি মারাত্মক ক্ষতি। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই ক্ষতিগুলো সম্পর্কে—

কখনই হেডফোন দিয়ে উচ্চ শব্দে গান শোনা সঠিক নয়। তাতে করে চিরদিনের জন্য শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকি থাকতে পারে। যদি শুনতে হয়, তাহলে ভলিউম কমিয়ে শুনুন। হেডফোন ব্যবহার থেকে নিয়মিত বিরতি নিন।

হেডফোন ব্যবহারের সময় ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে।

হেডফোন কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে কখনই ব্যবহার করবেন না। এতে করে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

অধিকাংশ হেডফোন বায়ুরোধী (এয়ার-টাইট)। তাতে করে কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না, যা কানের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

গবেষকদের মতে, হেডফোনে দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দে গান শুনলে সেটা খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। এটা খুবই মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *