এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা তামান্না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সুইডেনের স্টকহোমে বসবাস করছেন। বর্তমানে সেখানে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নাচ এবং হেলথের লিডার হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি এই নায়িকা আবার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। গত ২৬ নভেম্বর বিয়ে করেছেন তামান্না। তার স্বামীও সুইডেন প্রবাসী। জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখলেন। কেমন কাটছে সময়? তামান্না বলেন, অন্যরকম এক সময় পার করছি।বিয়েটা হঠাৎ করেই হয়েছে।
চার বার বিয়ের তারিখ পেছানোর পর শুভ কাজটা হয়।
আসলে আমার বিয়ের খবরে চমকে গেলেও অনেকে খুশি হয়েছেন। যেটা আমার খুব ভালো লাগছে। বিয়ে তো হলো। হানিমুন কোথায় করবেন? তামান্না বলেন, হানিমুনটা বাংলাদেশে করতে চাই। চাইলে তো অন্যান্য দেশে যাওয়া যায়। কিন্তু অনেকদিন ধরে নিজ জন্মভূমিতে যাওয়া হচ্ছে না। তাই স্বামীকে নিয়েই দেশে যাওয়ার ইচ্ছা। কবে নাগাদ আসা হতে পারে? এ নায়িকা বলেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। সাত বছর ধরে অভিনয়ের বাইরে। এ জগতটাকে কি মিস করেন? তামান্নার উত্তর-অবশ্যই অনেক মিস করি। অভিনয় না করলেও নায়িকা পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আর আমার পরিবারও খুবই সম্মানের চোখে দেখে।
আবার সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছে আছে? তামান্না বলেন,শুনলে অবাক হবেন এখনও সিনেমার প্রস্তাব পাই। যদিও এই মূহুর্তে কাজ করার সময় ও সুযোগ কম। তবে বিশেষ কিংবা অতিথি চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। ‘অরণ্য আলো’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন সম্প্রতি? এ নায়িকা বলেন, হ্যাঁ। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশ কিছু কাজ করার লক্ষ্য আছে। এতে আশ্রম সহ অন্যান্য অনেক কার্যক্রম হবে। ‘ভণ্ড’র মতো সুপারহিট সিনেমার পরও ক্যারিয়ারটা খুব দীর্ঘ হয়নি আপনার। কারণটা কি আসলে? তামান্না বলেন, বিভিন্ন কারণে কাজ থেকে সরে আসতে হয়। ‘ভন্ড’ সিনেমার ঠিক পরের দিনই চারটি সিনেমার চুক্তি সই করি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নেতিবাচক শক্তির কারণে সিনেমাগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। উল্লেখ্য, তামান্নার পুরো নাম তামান্না হাসিন হুদা। শৈশব থেকেই পরিবারের সঙ্গে সুইডেনে থাকেন। সেখানেই পড়ালেখা করেছেন। ক্লাস এইটে পড়ার সময় ১৯৯৫ সালে দেশে বেড়াতে এসে আফজাল হোসেনের নির্মাণে স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্কের মডেল হন। এরপর ‘ত্যাজ্যপুত্র’ ছবি দিয়ে ঢাকাই সিনেমায় পা রাখেন তামান্না। তবে নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয়তা পান শহিদুল ইসলাম খোকনের ‘ভণ্ড’ ছবির মাধ্যমে।
তামান্না অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে- ‘হৃদয়ে লেখা নাম’, ‘তুমি আমার ভালোবাসা’, ‘শত্রু তুমি বন্ধু তুমি’, ‘কঠিন শাস্তি’, ‘সন্ত্রাসী বন্ধু’, ‘আমার প্রতিজ্ঞা’, ‘মুখোশধারী।