বাবুল আক্তার, যশোর প্রতিনিধি: [২] যশোরের চৌগাছায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ভিনদেশী ড্রাগন ফল। স্থানীয় একজন উদ্যোক্তার সফলতা দেখে স্থানীয়রা ইতোমধ্যেই একাধিক বাগান গড়ে তুলেছেন। আর এতে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা।
[৩] উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ হচ্ছে।
[৪] উপজেলার তিলকপুর গ্রামের একছের আলীর ছেলে ইসলামাঈল হোসেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে চাকুরি নেন একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে। অসুস্থতার কারনে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। নতুন কিছরু চিন্তায় ইন্টারনেটে ড্রাগন চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারা এনে দুই বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করে সফলতা অর্জন করেন তিনি। বর্তামনে ৩ একর জমিতে ড্রাগন চাষ রয়েছে তার।
যুক্তরাষ্ট্রে ৭৯ বাংলাদেশির মৃত্যু ≣ [১] লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পিকআপ চাপায় যুবক নিহত ≣ [১] দুই খেলোয়াড় অদল বদল, বার্সায় পিয়ানিচ, জুভেন্টাসে আর্থুর
[৫] ইসমাইলের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উপজেলায় কয়েক’শ চাষী ৭ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ করেছেন।
[৬] উপজেলার কয়েকজন চাষী জােিয়ছেন, প্রতি বছর এক একর বাগান থেকে প্রথম পর্যায়ে ৪-৫ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করা যায়। এছাড়া চারা বিক্রি করে আরো কয়েক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। প্রতি বছরই এই গাছ বড় হবে এবং ফলের পরিমানও বৃদ্ধি হবে। বছরে একটানা ৭ মাস এই ফল পাওয়া যায়। তারা আরো জনানা, বাজারের ড্রাগন ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাগান থেকে পাইকারী হারে ৩শ থেকে ৪শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
[৭] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, চৌগাছা এলাকার মাটি ড্রাগন চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাছাড়া একটি বাগন থেকে একটানা ৩০ থেকে ৪০ বছর একইভাবে ফল পাওয়া যায়। একারনে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য আমরা চাষিদের উৎসাহিত করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছি। সম্পাদনা: সাদেক আলী