প্রিয় ভাই ও বন্ধু চঞ্চল চৌধুরী বাংলাদেশের শুধু জনপ্রিয় অভিনেতাই নন, এদেশের বিনোদনপ্রিয় মানুষের কাছে তিনি আইকন। মা দিবসে চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি কজনের ঘৃনিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসাবে আমি লজ্জিত এবং অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। তাদের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য দেখা মাত্রই রিপোর্ট করে তার আইডি উড়িয়ে দিতে হবে। কঠোর এবং সঠিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে কোন উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। প্রিয় চঞ্চল চৌধুরী এবং তার গর্বিত জন্মদাত্রী মা’র কাছে আমি বাংলাদেশী লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। এভাবেই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও তার মায়ের ছবিতে করা কজন কু মন্তব্যকারীকে নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রিতির বাংলাদেশে এসব গুটিকয়েক উগ্র মানসিকতার মানুষকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। না হলে একটা সময় এরা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। এদিকে এবারের রোজা এবং ঈদে সব মিলিয়ে প্রায় ২০টি গান প্রকাশ পাচ্ছে এ শিল্পীর। বিভিন্ন ব্যানার থেকে কিছু গান প্রকাশ হয়েছে, কিছু প্রকাশের অপেক্ষায়। ঈদে অনেক গান প্রকাশ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হয়তো? আসিফ বলেন, সংখ্যার দিকে তো খেয়াল থাকে না, আমি আমার কাজটা করে যাই। এবার হয়তো রমজানে ইসলামি ও ঈদের গান মিলিয়ে ২০-২২ টা হবে। আমার বিশ্বাস ভালো লাগবে শ্রোতাদের। এছাড়া আরো অনেক গান রয়েছে পাইপলাইনে। করোনায় সংগীতের ক্ষতি কেমন হচ্ছে বলে মনে করেন? আসিফ বলেন, অনেক। কারণ স্টেজ বন্ধ। স্টেজে ব্যস্ত শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা বেকার। গত বছরই অনেকে পেশা ছেড়েছেন। অনেকে টিকে থাকতে যুদ্ধ করে গেছেন। কিন্তু এবার দ্বিতীয় দফায় করোনার আঘাতে অন্য অনেক কিছুর মতো শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এই পরিস্থিতি যত তাড়াতাড়ি ঠিক হবে সবার জন্য ভালো।