আফগানিস্তানে যৌথ কূটনীতিক মিশন স্থাপনে কাজ করছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তবে শিগগিরই যে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না ইউরোপ এটাও জানান তিনি। খবর রয়টার্স।
গত আগস্টে মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ত্যাগ এবং তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর নিজেদের অবস্থান কী হবে তা নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছিল পশ্চিমা দেশগুলো। তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নিলে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয় এবং কূটনীতিক প্রত্যাহার করে। বর্তমানে তালেবান নেতৃত্বাধীন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে তার শীর্ষ নেতৃত্ব জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তালেবান সরকারের সঙ্গে কীভাবে কাজ করবে তা নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
গতকাল কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁ জানান, ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের জন্য একটি যৌথ কার্যালয়ের কথা চিন্তা করছি আমরা। হয়তো একই স্থানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালন করবেন। সৌদি আরবের জেদ্দা অভিমুখে যাত্রা করার আগে এ তথ্য জানান তিনি।
পশতু নেতৃত্বাধীন তালেবান গোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে ইতস্তত করতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে। কিন্তু জাতিগত ও নৃতাত্ত্বিক সমন্বয় নিশ্চিত এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিতে তালেবানকে চাপ প্রয়োগে রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। নতুন পরিস্থিতিতে কেমন পদক্ষেপ হবে এ নিয়ে মাখোঁ বলেন, এটা তলেবানকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি কিংবা তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করার চেয়ে ভিন্নতর পদক্ষেপ। আমরা সেখানে আমাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চাই—এটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ কথা।
তালেবানের সঙ্গে সংলাপ শেষে গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছিল, তারা কাবুলে তাদের মিশন চালু করতে চায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মিশন স্থাপনের মাধ্যমে ইইউ প্রতিনিধি দল কাবুলে ন্যূনতম উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায়। তার মানে এই নয় যে আমরা তাদের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছি। এছাড়া মিশন স্থাপনের বিষয়টি নির্ভর করছে কীভাবে ডিফ্যাক্টো শাসকগোষ্ঠী কূটনীতিক মিশন ও ইইউ স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
শুক্রবার পৃথক এক সংবাদ বিবৃতিতে ফ্রান্স জানায়, কাতারের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে তারা। এ পর্যন্ত ৩০০ জনকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করেছে তারা, যার বেশির ভাগই আফগান।