মুনিরা মিঠু। যার উজ্জ্বল উপস্থিতি ছোট পর্দার দর্শকদের প্রতিনিয়ত বিমোহিত করে চলেছে। দর্শকদের সব সময় ফোকাস থাকে নাটকের নায়ক-নায়িকার দিকে। সেই প্রথাকে ভেঙে যে ক’জন অভিনেত্রী তাদের অভিনয়ের কারিশমা দিয়ে নিজেদের স্বতন্ত্র ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তাদের একজন মুনিরা মিঠু। এই অভিনেত্রী নাটকে সচরাচর ছটফটে মুখরা চরিত্রে অভিনয় করেন। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? মুনিরা মিঠু বলেন, অনেক ভালো আছি আপনাদের সবার দোয়ায়। অভিনয় জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন।
এই পর্যায়ে আসার সব থেকে বড় উৎসাহ কি মনে করেন? এ অভিনেত্রী বলেন, আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে যার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি তিনি আমার অভিনয় গুরু প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ স্যার।
আমার প্রতি তিনি যে বিশ্বাস রেখেছিলেন অভিনয়ের ক্ষেত্রে সামান্য কিছুটা হলেও আশা রাখি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পেরেছি। আমার এই ক্ষুদ্র শিল্পী জীবনে দর্শকদের ভালোবাসা অপরিসীম।
তাদের ভালোবাসার অবদানই এই মুনিরা মিঠুর শিল্পী হিসেবে জন্ম। বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? মুনিরা মিঠু বলেন, বেশকিছু সিঙ্গেল নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। বি ইউ শুভর ‘পালিয়ে বিয়ে’, মোস্তফা কামাল রাজের ‘প্লেয়ার্স’, ‘মায়ায় থেকো’ এবং সাগর জাহানের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত একটি নাটকের কাজ শেষ করলাম। এই মুহূর্তে নামটা মনে পড়ছে না। ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’, ‘অনলাইন অফলাইন’, ‘জয়েন্ট ফ্যামেলি’তে অভিনয় করছি। ইউটিউবার প্রত্যয় হীরণের সঙ্গে কাজ করতে ভীষণ ভালো লাগে।
তার নির্দেশনায় ইউটিউবের জন্য কিছু কাজ করেছি। তার যে দিকটা সবচেয়ে আমার ভালো লাগে- শিল্পীদের সম্মান দিতে জানে। সিনেমায় কাজ করছেন? মুনিরা মিঠু বলেন, সিনেমার অনেক প্রস্তাব আসে। কিন্তু চরিত্র বা গল্প পছন্দ না হওয়াতে রাজি হই না। রুপালি পর্দাই হচ্ছে একজন শিল্পীর স্বপ্নের জায়গা। নিজের অভিনয়ের ভিন্ন ভিন্ন দিক তুলে ধরার সিনেমাই বিশাল ক্যানভাস। সম্প্রতি চৌধুরীর সিনেমা ‘জ্বল জ্বলে তারা’ ছবিতে মনের মতো চরিত্র করেছি। দর্শক সচরাচর আমাকে বদরাগী বা হাল্কা রসাত্মক চরিত্রে অভিনয় দেখতে অভ্যস্ত। এখানে অন্য এক আমাকে আবিষ্কার করা যাবে। এখানে জেলেপল্লীর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে জীবন যুদ্ধে পোড় খাওয়া গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছি।