ভারতে ব্যাংকিং ব্যবসায় বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে বলা হয়েছে যে সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক না হলেও বাজারে ঋণ দেয় তাদের কথাও বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সম্পদের পরিমাণ অবশ্যই ৫০ হাজার কোটি রুপির বেশি হতে হবে। এ ধরনের ব্যবসায় অন্তত দশ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইকোনোমিক টাইমস
ভারতে একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মার্জারের মাধ্যমে বড় ব্যাঙ্ক তৈরির জন্যে উৎসহ দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি প্যানেল সুপারিশ করেছে, টাটা গোষ্ঠী, আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মতো বৃহৎ শিল্পসংস্থাকে ব্যাঙ্কিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। এই ধরনের কয়েকটি নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় বাজারে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করছে। যেমন বাজাজ ফাইনান্স লিমিটেড, এল অ্যান্ড টি ফাইনান্স হোল্ডিংস লিমিটেড, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস, টাটা ফাইনান্স ক্যাপিটাল, শ্রীরাম ট্রান্সপোর্ট ফাইনান্স। এই প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যাঙ্ক নয়, কিন্তু ঋণের পরিষেবা দেয়।
বাজাজ ফাইনান্সের চেয়ারম্যান সঞ্জীব বাজাজের মতে, রিজার্ভ ব্যাংকের প্যানেলের এ ধরনের সুপারিশ এক কথায় ভাল ও প্রগতিশীল। রিজার্ভ ব্যাংকের এই সুপারিশ ভারত সরকার মানলে, ব্যাংকিং রেগুলেশন আইনে সংশোধন আনতে হবে। তবেই নতুন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া যাবে। প্যানেলের এও সুপারিশ যে ছোট যে পেমেন্ট ব্যাংকগুলো রয়েছে এবং যারা অন্তত তিন বছরে ধরে ব্যবসা করছে, তাদেরও স্মল ফাইনান্স ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। পেটিএম, জিও, এয়ারটেল পেমেন্ট ব্যাংক এই শ্রেণিতে পড়ে।
[১] মাদক মামলার হুমকি দিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে, পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার ≣ [১] পদ্মা সেতুর পিলারের গোড়ার মাটি সরে যাওয়ার ঝুঁকি, মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা ≣ বৃহস্পতিবার আবার ফরিদপুরে আসছেন মিজানুর রহমান আজহারী
ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পি কে মহান্তিকে মাথায় রেখে জুন মাসে এই প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। বেসরকারি ব্যাংকের মালিকানা সংক্রান্ত নিয়মকানুন ইত্যাদি স্থির করার ব্যাপারে সুপারিশ করার কথা ছিল এই কমিটির। রিজার্ভ ব্যাংকের ওই প্যানেল আরো সুপারিশ করেছে যে, বেসরকারি ব্যাঙ্কে প্রমোটারের অংশীদারিত্ব ১৫ বছর বাদে ২৬ শতাংশ করা যেতে পারে। বর্তমানে প্রমোটারের অংশীদারিত্ব তিন বছরের মধ্যে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। ১৫ বছরের মধ্যে তা কমিয়ে করতে হবে ১৫ শতাংশ।