মহসীন কবির: [২] বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের দেওয়া আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পানি পান করে অনশন ভাঙেন। এসময় শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন, তাদের মাথায় হাত ভুলিয়ে সান্তনা দেন ড. জাফর ইকবাল ও বুকে জড়িয়ে ধরেন ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক।
[৩] শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। দীর্ঘ ১৬২ ঘণ্টা অনশনে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
<[৪] এদিকে বুধবার ভোর ৪টার দিকে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন। সবার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন। এ সময় দাবি আদায়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলে অনশন ভাঙতে রাজি হন শিক্ষার্থীরা।
[৫] ড. জাফর ইকবাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি আবেগি মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকে লিখে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এটা এখন তোমাদের দিচ্ছি। এখন সিআইডি দেখি আমারে অ্যারেস্ট করে কিনা। আমারে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাক।
[১] ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর করোনার ক্যাপস্যুল: ফাইজার ≣ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তিন বছরেই স্বাবলম্বী ≣ সব গোল টুকে রাখা শতবর্ষী ভক্তকে মেসির স্যালুট
[৬] শিক্ষার্থীদের বলেন, গতকাল উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের, সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।
[৭] উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল তিনটা থেকে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে অনশনকারী এক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য অসুস্থ হওয়ায় অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে গেছেন তিনি। পরে গত রোববার সেখানে নতুন করে আরও পাঁচ শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন।