করোনায় দীর্ঘ বিরতি গেল দেশের বিনোদন শিল্পে। সেই বিরতি শেষে একে একে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন বড় ও ছোট পর্দার তারকারা। ছয় মাসেরও বেশি সময় ঘরবন্দি থাকার পর সম্প্রতি কাজে ফিরেছেন মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।
মার্চের শেষ থেকে ঘরবন্দি ছিলেন ঐশী। করোনা উপদ্রবের আগে সর্বশেষ মার্চে একটি চলচ্চিত্রের শুটিং করেছিলেন তিনি। এরপর করোনার কারণে মাঝখানে টানা কাজের বিরতি পড়ে যায়। দীর্ঘ বিরতি ভেঙে অবশেষে আবারো শুটিংয়ে নেমেছেন ঐশী। শুটিংয়ে ফেরা নিয়ে টকিজকে তিনি বলেন, ‘আমি ভিট বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। কয়েক দিন আগে তাদের জন্য প্রমোশনের কাজ করেছি। অনেক দিন ধরেই কাজগুলো করার কথা ছিল। করোনার কারণে বারবার পিছাচ্ছিলাম। কিন্তু এটা তো একটি কোম্পানির কাজ। কোম্পানির ব্যবসাসহ অনেক কিছুই এর সঙ্গে জড়িত। তাই নিজের মধ্যেও মনে হচ্ছিল কাজটি করি। তাছাড়া ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তাদের সঙ্গে এটা চুক্তিও ছিল।’
ঐশীর করা ভিটের প্রমোশনের কাজটি পরিচালনা করেছেন আহমেদ হাসান সানি। এ কাজের মধ্য দিয়ে অনেক দিন পর আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন, কেমন অভিজ্ঞতা হলো জানতে চাইলে ঐশী বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক দিন কাজের বাইরে ছিলাম। ভেবেছি অনেক কাজ করব। কিন্তু আমি একদিন কাজ করেই অসুস্থ হয়ে গিয়েছি। আমাকে ৭টা আলাদা আলাদা মেকআপে কাজ করতে হয়েছে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা টানা কাজ করেছি। এমন পরিশ্রম যে প্রথম করেছি, তা কিন্তু নয়। আমার ২৪ ঘণ্টা টানা কাজের অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু এবার মনে হলো ঘরে বসে থেকে এনার্জি লেভেল কমে গিয়েছে। কিন্তু একটাই আনন্দের কথা, আমি কাজে ফিরেছি।’
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর ঝুলিতে থাকা তিনটি চলচ্চিত্র এখন মুক্তির অপেক্ষায়। চলচ্চিত্রগুলোয় তিনটি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র রূপায়ণ করেছেন তিনি। যদিও করোনার কারণে সেগুলো এখনো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ২০২০ যেন তার জন্য একটু মন্দ ভাগ্যই নিয়ে এসেছে, কথায় এমন সরল অভিযোগ ছিল তার। অবশ্য একই সঙ্গে তিনি আশাবাদীও বটে। ঐশীর মতে, ‘‘আমি মনে করি, সামনে খুব ভালো দিন অপেক্ষা করছে। ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির টিজার বেশ সাড়া ফেলেছে। অপেক্ষায় আছি, খুব ভালো কিছুই হবে।”
অভিনেতা মীর সাব্বির পরিচালিত ও ঐশী অভিনীত ‘রাত জাগা ফুল’ ছবির শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে আগেই। ‘আদম’ ছবির কাজও প্রায় শেষ দিকে। আবার কবে এ ছবির শুটিংয়ে ফিরবেন? ‘আমি জানি না আদম ছবির কাজ কবে শুরু হবে। আশা করছি দ্রুতই হবে। একটি বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে, এ ছবির স্ক্রিপ্ট রাইটার মারা গেছেন। এটা আমাদের জন্য একটা বড় ধাক্কা ছিল’—ঐশী বলেন।
করোনাকালে গৃহবন্দি সময় কেমন কেটেছে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। এ প্রশ্নের উত্তরে ঐশী বলেন, ‘মানুষের কষ্ট স্পর্শ করেছে আমাকে। সবার মতো আমিও খারাপ সময় কাটিয়েছি, শুরুতে আতঙ্ক ছিল। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবে খুব খারাপ যায়নি। রোজা, ঈদ, বৈশাখসহ কয়েকটি উৎসব গেল। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। সব মিলিয়ে ভালোই গিয়েছে।’