স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজিকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। কভিড-১৯ রোগীদের সেবায় জড়িত চিকিৎসকদের নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল কমিশনের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে কঠোর পরিশ্রমী, সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেন ডা. আবুল কালাম আজাদ।

ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় ৬ আগস্ট। গতকাল দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি একজন কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান, সৎ, দক্ষ, সফল এবং মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবেই সারা জীবন কাজ করেছি। আমি একজন অহঙ্কার এবং অহমিকামুক্ত, সরল এবং সজ্জন ব্যক্তি।

তিনি বলেন, সিএমএসডি কর্তৃক কভিডসংশ্লিষ্ট ক্রয় সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে এ বিষয়ে আমি কী জানি, তা শোনার জন্য তদন্ত কর্মকর্তারা আজ আমাকে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি তা তাদের বিস্তারিত বলেছি। তদন্তাধীন বিষয় সম্পর্কে এ মুহূর্তে আমার পক্ষে এর চেয়ে বেশি কিছু আপনাদের বলা সম্ভব নয়।

পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আজাদ বলেন, আমি লক্ষ করছিলাম, আমাকে নিয়ে অপপ্রচারের অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। পদ আঁকড়ে রাখা আমার কাছে সম্মানের বিষয় নয়। তাই বিবেকতাড়িত হয়ে গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।

চিকিৎসক, সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক বলেন, এ কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হোক এটা আমি চাই, এ বিষয়ে তদন্তে আমি প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদান করব।

২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদে ছিলেন ডা. আজাদ। সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পরও তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের এপ্রিলে। কিন্তু গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একের পর এক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হতে থাকলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পরে গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র দেন তিনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *