রামুর রাজারকুলে পানি সেচের আভাবে ১০০ একর জমির বোরো ধান চাষ বিনষ্টের উপক্রম হয়ে পড়েছে। আবাধকৃত বোরো ক্ষেত পানির অভাবে প্রায় শুকিয়ে গেছে। এতে করে উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের শতাধিক কৃষকের দিন কাটছে উৎবেগ উৎকন্ঠায়।
[৩] সরজমিন পরিদর্শন ও ভোক্তভোগীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে জনৈক আবদুল জলিল সেচ স্কীম পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও ব্যক্তিগত নানা কারণে গেলে কয়েক বছর ধরে স্কীম পরিচালনা করছেন না। এতে করে কৃষকদের চাষাবাদে নানা জটিলতা তৈরি হতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয় কৃষকরা হালদারকুল এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে ছানা উল্লাহকে স্কীম পরিচালনা করার দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পেলেও স্কীম পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎতিক সংযোগ মিটার। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মিটার অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরে কোন ধরণের সমাধান মিলছেনা। স্কীম পরিচালনার জন্য সে সময়ে রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছানা উল্লাহকে স্কীম পরিচালনার জন্য লিখিত অনুমোদনও দেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
[৪] এছাড়াও গত ৩ জানুয়ারি বিএডিস’র কক্সবাজার সদর ইউনিটের উপ- সহকারী প্রকৌশলী ( ক্ষুদ্র সেচ) ও কক্সবাজার সদর সেচ কমিটির সদস্য সচিব শওকত আলী সবুজ রাজারকুল মৌজায় ছানা উল্লাহর সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে উক্ত সেচ প্রকল্পের স্কীমটিতে বৈদ্যুতিক মিটার ও সংযোগ প্রদান এবং রাবার ড্যাম সেচ কমিটির অনুমতি প্রদানের নিমিত্তে ছাড়পত্র দেন।
[৫] ইতোপূর্বে বিএডিসি’র রামু ইউনিটের উপ- সহকারী প্রকৌশলী ( ক্ষুদ্র সেচ) ও উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব রানা প্রতাপ বিশ্বাস রাজারকুল মৌজায় ছানা উল্লাহ সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করে স্কীমটিতে বৈদ্যুতিক মিটার ও সংযোগ প্রদানের জন্য ছাড়পত্র দেন।
ছাড়পত্রে ২০২১-২০২২ সেচ মৌসুমে বোরো চাষের জন্য স্কীম মালিক ছানা উল্লাহকে সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়।
[৬] এরই প্রেক্ষিতে স্কীম মালিক ছানা উল্লাহ কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও মিটার চেয়ে আবেদন করলেও সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার অনুমতি না পাওয়ায় বিদ্যুৎতিক সংযোগ ও মিটার না পাওয়ায় নতুন খাল থেকে পানি সংগ্রহ করে চাষ করা প্রায় ১০০ একর জমির বোরো চাষ শুকিয়ে যাচ্ছে।
[১] ২১ শিক্ষার্থীকে ভর্তি কার্যক্রমে অংশ না নিতে দেওয়া কেন অবৈধ নয় ≣ [১] বিএনপির বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন: খন্দকার মোশাররফ ≣ [১] চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
[৭] এ ব্যাপারে জানতে কক্সবাজার সমবায় কর্মকর্তার ফোন করা হলে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
[৮] স্থানীয় মধ্যম হালদারকুল এলাকার কৃষক নুর মোহাস্মদ ওরফে বলি মোহাম্মদ জানান, ধার দেনা নিয়ে চাষ করা জমি এখন পানির অভাবে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। তাদের একমাত্র সম্বল এই চাষকরা ধান খেত রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।