সাহেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেল দুদক

অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)। দুদক পরিচালক ফানা ফিল্লাহর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস এ অনুমতি দেন।

এ সম্পর্কে দুদক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে তার ব্যক্তিগত সম্পদ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া পরিচয়ে ঋণগ্রহণ ও করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহসহ সেসব বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে দুদকে একটি অনুসন্ধানী টিম পরিচালক ফানা ফিল্লাহর নেতৃত্বে কাজ করছে। সাহেদ করিম এখন যেহেতু অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন, তাই তারা সেসব বিষয়ে তাকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে ১০ আগস্ট পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় এ আসামির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত। এছাড়া এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রতারণা ও মানি লন্ডারিং আইনেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। এরপর সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওইদিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৫ জুলাই গ্রেফতার হন সাহেদ। এরপর ১৬ জুলাই তার ওই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। এরপর অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালত তার সাতদিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে গত ৩০ জুলাই অস্ত্র মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়েছে। এছাড়া অন্য এক অস্ত্র মামলায় তার আরো ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়, যার মধ্যে বর্তমানে ২০ দিনের রিমান্ড শেষে হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *