সাকিব-মোস্তাফিজকে ‘মিস’ করলো বাংলাদেশ

সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্ব দেন স্পিন ও পেস আক্রমণে। বোলিং বিভাগের দুই সেনানীকে বিশ্রাম দিতে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামে চার পরিবর্তন নিয়ে। সাকিব-মোস্তাফিজের অভাব অনুভূত হয়েছে বোলিং ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড কিছুটা চাপমুক্ত ব্যাটিংয়ে ঝোড়ো শুরু করে। পাওয়ার প্লে’তে সাকিব-মোস্তাফিজের কার্যকারিতা এবং শেষের ওভারগুলোয় মোস্তাফিজের দারুণ নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের রাশ টেনে ধরে বাংলাদেশ দল। দুই তারকা না থাকায় কিউইরা রান তুলেছে শুরু আর শেষে। শুরু আর শেষের ঝড়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ৫ উইকেটে ১৬১ রান। যা এই সিরিজের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
পাওয়ার প্লে’তে ঝড় তোলার দায়িত্ব ফিন অ্যালেনের।

তৃতীয় ম্যাচে অ্যালেন ঝড় থামিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটিং করা কিছুটা সহজ ছিল গতকাল। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে সফরকারীরা তোলে ৫৮ রান। ষষ্ঠ ওভারে পেসার শরিফুল রাচিন রবীন্দ্র (১২ বলে ১৭ রান) ও অ্যালেনকে (২৪ বলে ৪১ রান) ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান। মাত্র এক স্পেশলিস্ট স্পিনার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ মাঝের ওভারে রানের গতি আটকে রাখতে সক্ষম হয়। মাহমুদুল্লাহ, আফিফ, সৌম্য ও শামীমরা বাজে বল দিয়েছেন কমই। আগের ম্যাচের সেরা নাসুম আহমেদ কোটার পুরোটা বোলিং করেননি। উইল ইয়ং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ। ৮ বলে ৬ রান করে আফিফের শিকার হন ইয়ং। বাজে সময়ের মধ্যে থাকা গ্র্যান্ডহোমকে (৮ বলে ৯ রান) ফেরান নাসুম। তাসকিনের শিকার হয়ে ফেরার আগে হেনরি নিকোলস খেলেন ২১ বলে ২০ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের সেরা কিপার মনে করায় হয় সোহানকে। সেই নমুনা আরো একবার দেখালেন তিনি। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলটি তাসকিন করেন অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে। ব্যাটের কানায় লেগে গুলির বেগে বল যায় পেছনে। চোখের পলকে বামদিকে ঝাঁপিয়ে তা গ্লাভসবন্দি করেন সোহান। পঞ্চম উইকেটে টম ল্যাথামের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন নিকোলস।
ইনিংসের মাঝপথে রান তুলতে লড়াই করা নিউজিল্যান্ডকে পথ দেখান অধিনায়ক। শুরু মতো বোলিংয়ের শেষটাও ভালো করতে পারেননি টাইগার পেসাররা। শরিফুল-তাসকিন করেছেন শেষ ৫ ওভার। দু’জনই সিরিজে মাঠে
নেমেছেন প্রথমবার। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকার প্রভাব কিছুটা পড়েছে তাদের পারফরমেন্সে। শুরুর দিকে ভালো করলেও শেষে বেশি খরুচে ছিলেন তাসকিন। শেষ ছয় ওভারে ৬৫ রান তোলে কিউইরা। তাসকিনের করা ১৮তম ওভারে ২ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে ১৮ রান নেন ল্যাথাম। ষষ্ঠ উইকেটে কোল ম্যাকনকিকে নিয়ে আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন তিনি। ২১ বলে ৪৩ রান তোলেন দু’জন। ৩৭ বলে ২ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন কিউই অধিনায়ক। এই সিরিজে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে যা তার দ্বিতীয় ফিফটি। ম্যাকনকি খেলেন ১০ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডারের যা ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। শরিফুল ২ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪৮ রান। ৩৪ রানে তাসকিনের শিকার ১ উইকেট। ৩ ওভার করে বোলিং করেছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও আফিফ। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৭ ও আফিফ দিয়েছেন ১৮ রান। স্পিনাররা সাকিবের অভাব কিছুটা পোষাতে পারলেও মোস্তাফিজের কাটার-স্লোয়ারের জাদুকরী স্পেল দেখা যায়নি তাসকিন-শরিফুলদের কাছ থেকে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *