সব রকমের দোয়াই করলাম, একটাও কবুল হয় না, তাহলে কেন তাঁর ইবাদাত করবো?

এক সময় একটা ভাই ছিল।সে সালাতের প্রতি ছিল খুবই যত্নশীল।নিয়মিত সে সালাত আদায় করতো,নিয়মিত।আমি এর প্রতক্ষ সাক্ষী। প্রবল তুষারঝড়,বজ্রজড় থাকাসত্ত্বেও সে নিয়মিত সালাতের জন্য মসজিদে আসতো।মাশ-আল্লাহ।

যখনি আমি ড্রাইবিং এর সময় তাঁকে চলাবস্থায় রাস্তায় দেখতে পেতাম,গাড়িতে তুলে নেতাম কারন তাঁর কোন গাড়ি,বাস বা বাইক কিছু ছিল না। একসময় হটাৎ করে ভাইটি মসজিদে আসা বন্ধ করে দিল।আমি খোঁজ নেয়ার জন্য তাঁর বাড়িতে গেলাম।গিয়ে দরজায় নক করলাম।সে দরজা খুললো।তাঁকে বললাম,”আস-সালামু আলাইকুম”।

সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিলেন জুলিও ≣ [১] কোভিড -১৯ এর কারণে এবছর বিদেশে যাচ্ছেনা রাজশাহীর আম! ≣ চট্টগ্রাম মহসিন কলেজে ছাত্রলীগ দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

কিন্তু তাঁর উত্তর ছিল এরকম যে,’কি চান?’
আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম তাঁর অবস্থা দেখে।যেখানে সালাম দেয়া সুন্নাহ এবং সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজীব সেখানে তাঁর ভাবটা ছিল এরকম।অথচ সে মসজিদের একজন নিয়মিত মুসুল্লি অর্থাৎ প্রাকটিসিং মুসলিম।

এখন বলতে পারেন যে আমি হয়তো ভাইটিকে ঘৃনা করি কোন কারন বশত।না,না এরকম কোন কারন নেই।

যখন কেউ আপনাকে সালাম দেয় অবশ্যই উচিৎ এর জবাব দেয়া।আল্লাহ আমাদের এই সুন্নাহ অনুসরণ করার তৈফিক দান করুক।আমিন।

যাই হোক,সে উত্তর দিল “কি চান আপনি?”
আমি বললাম,এই একটু খোঁজ নিতে আসলাম কেননা তোমাকে গত সপ্তাহ খানেক থেকে মসজিদে অনুপস্থিত দেখছি।ভাবলাম কিছু হলো কিনা।

সে উত্তর দিল,আমি যথেষ্ট সুস্থ ও ভাল আছি এখন আপনি আসতে পারেন।

আমি বললাম,না আমি যাবো না যতক্ষন না বলছো যে তোমার কি হয়েছে?কারন আমরা তো মোটামুটি ক্লোজ।সেহেতু আমাকে এ সম্পর্কে জানাতেই পারো।

এদিক-ওদিক,এদিক-ওদিক করতে করতে অবশেষে রাজি হল।বললো আচ্ছা ঠিকাছে ভেতরে আসুন।আমি তাঁর ঘরের ভেতরে গেলাম এবং কাহিনীটা জানতে চাইলাম।

সে বললো,আপনি কি জানেন না আমি মসজিদের সাথে কি রকম লেগে থাকতাম?হ্যাঁ কি না?

উত্তর দিলাম,হ্যা!অবশ্যই এটা আমি স্বীকার করি।
সে আরও বললো,আমি নিয়মিত মসজিদে আসতাম।যে কোন আবহাওয়ায়।অথচ আমার কোন বাইক ছিল না।প্রতি বেলা আমি হেঁটে-হেঁটেই আসতাম।আল্লাহ অবশ্যই এর সাক্ষী।

আমি বললাম,অবশ্যই।কেননা ব্যক্তিগত ভাবে আমিও অনেকদিন তোমাকে গাড়িতে নিয়ে নিতাম।হ্যা!এটা আমি জানি।

কিন্তু সমস্যা কোথায়?কেন তুমি হটাৎ করে মসজিদে আসা বন্ধ করে দিলে?এবং তোমার আচার-আচারনে কি সমস্যা হয়েছে?

তাঁর উত্তর ছিল,
আমি বিগত নয় মাস থেকে নিয়মিত মসজিদে এসে সালাত আদায় করছি।সব রকমের দোয়াই আমি আল্লাহর কাছে করতাম।সব রকমের দোয়া।এই দোয়া,সেই-দোয়া,ওই দোয়া।অথচ একটা সিঙ্গেল দোয়াও আমার কবুল করা হলো না।

তাহলে কেন আমি তাঁর ইবাদাত করবো?
যে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান নেই সেসব বিষয়ে প্রবলউদ্দীপনা থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক।বলে রাখা ভাল,সে ছিল একজন হাই-স্কুল স্টুডেন্ট।

যাই হোক,তুমি এখানে অনেকগুলো কথা বললে প্রিয় ভাই অনেকগুলো।আরও বললাম,
তুমি কি রাসুলুল্লাহ সঃ এর সেই হাদিসটা শোন নি?
যখন তুমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে,তিনটি জিনিসের মধ্যে যে কোন একটা জিনিস ঘটে।

নাম্বার ওয়ান,রাসুলুল্লাহ সঃ বলেন,যদি তুমি কখনো আল্লাহর কাছে কোনকিছু চাও হয় আল্লাহ হুবহু ঐ জিনিসটাই তোমাকে দিবে।অর্থাৎ যেটা তুমি চেয়েছ ওইটাই পেয়ে যাবে।

অথবা নাম্বার টু,আল্লাহ আল-হাকিম(পরম-প্রজ্ঞাময়) জানেন যে তুমি যেটা চেয়েছো সেটা তোমার জন্য কল্যানকর নয়।তাই আল্লাহ এর বদলে অন্য বড় কোন বিপদে/কষ্টে পতীত হয়ার হাত থেকে রক্ষা করবেন।

নাম্বার থ্রি,এই দোয়াকে সওয়াবে পরিবর্তন করে শেষ বিচারের দিনের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন।

যখন সাহাবারা রাঃ এই হাদিস শুনলো তাঁরা বলে উঠলো,তাহলে আমরা আর কখনো দোয়া করা বন্ধ করে দিব না। দেখ,এই ছিল তাদের আচারন।কারন তাঁরা জানতো আল্লাহ অবশ্যই তাঁদের ডাকে সারা দিবে।

যাই হোক,
এখন প্রশ্ন হলো,তাহলে এই তিনজিনিসের মধ্যে কোনটা বেষ্ট?অর্থাৎ দোয়া কবুলের এই তিন পন্থার মধ্যে কোন পন্থাটা সবচেয়ে বেশি উত্তম?

উত্তর হলো,এই তিনটার মধ্যে ওইটাই তোমার জন্য বেষ্ট যেটা আল্লাহ মনে করেন তোমার জন্য বেষ্ট।


0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *