তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুশতাকের মৃত্যুতে বিদেশীদের বিবৃতিতে শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়েছে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে একটি দৈনিক পত্রিকার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিকদের বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, জনাব মুশতাকের মৃত্যুতে আমিও ব্যথিত এবং এ মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা উদ্ঘাটনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে কিছু বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা বিবৃতি দিলেন, তাতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাদের অনেক দেশেই অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তাদের দেশেও এ আইন আছে, গ্রেফতার ও শাস্তি হয়।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন স্বনির্ভর রাষ্ট্র, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি, কারো মুখাপেক্ষী নই। সুতরাং তড়িঘড়ি করে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার পুরনো অভ্যাস পরিহার করার আহ্বান জানাই—বলেন তথ্যমন্ত্রী।
জাতিসংঘের কোনো বিবৃতি আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিবৃতিটি জাতিসংঘ থেকে দেয়া নয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একজন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি একসময় চিলির প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সে সময়ও অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
মন্ত্রী কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, বছরের পর বছর বাচ্চাদের বাবা-মা থেকে আলাদা করে রাখা হয়, ফ্রান্সে যখন গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা হয়, গুয়ান্তানামো বেতে নির্যাতন হয়, তখন কি তারা বিবৃতি দিয়েছিলেন! সুতরাং এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এতে কারো নাক গলানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের টিকা গ্রহণ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নিজেও টিকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন, এ টিকা কাজ করবে না বলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনিই এখন টিকা নিয়েছেন। জলঘোলা করে পানি খাওয়ার মতো অহেতুক সরকারের সমালোচনা করে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে তাদের যাতে না পড়তে হয়, সেজন্য তাদের সমালোচনার সময় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাই।