শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবসের মর্যাদা দেওয়া উচিত: ন্যাপ

ঢাকা: শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শহীদ নবকুমার স্কুলের ছাত্র বাবুল, বাস কন্ডাক্টর গোলাম মোস্তফা ও গৃহকর্মী ওয়াজিউল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী শিক্ষা সঙ্কোচনমূলক শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন ১৭ সেপ্টেম্বর। ’

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে ন্যাপ নেতারা ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তারা বলেন, ১৯৬২ সালে ছাত্রসমাজ শরীফ কমিশন প্রতিবেদনকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষানীতি হিসেবে চিহ্নিত ও মূল্যায়ন করে, শিক্ষা সংকোচনমূলক গণবিরোধী প্রতিবেদন তারা প্রত্যাখ্যান করেন। ছাত্ররা আগে থেকেই আইয়ুব খান তথা সামরিক আইনবিরোধী আন্দোলনে ছিল। এ অবস্থায় শরীফ কমিশনের গণবিরোধী সুপারিশ ছিল ভিমরুলের চাকে ঢিল দেওয়ার মতো। ৬২’র আন্দোলনের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয় শিক্ষার আন্দোলন ও গণতন্ত্রের আন্দোলন এক সূত্রে গাঁথা।

নেতারা বলেন, ৬২’র সেই আন্দোলনের ছাত্রসমাজের সঙ্গে সেদিনের বিক্ষোভ মিছিলে মেহনতি মানুষের অংশগ্রহণ ছিল ৯৫ শতাংশ। দেখা গেছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বুড়িগঙ্গার ওপার থেকে এপার পর্যন্ত নৌকার মাঝিরা বৈঠা হাতে মিছিলে চলে এসেছে। ওই ঘটনার পর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

তারা বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় চারটি মোটা দাগের ঘটনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে আর তা হলো— ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র আন্দোলন ও ৭০’র সাধারণ নির্বাচন। দুঃখজনক হলেও সত্য এত বছরেও দিনটি এখন পর্যন্ত জাতীয় দিবসের স্বীকৃতি পায়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগোপযোগী পরিবর্তন আসেনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *