শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির জরুরি নির্দেশনা

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে নিয়মিত শ্রেণি পাঠদান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। রবিবার মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এই নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী সংসদ টেলিভিশনের প্রচারিত শ্রেণি পাঠদানের সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রেণি পাঠদানের রুটিন তৈরি করবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান। ওই রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যাবেন।

এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে আঞ্চলিক পরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিটরিং করবেন। চলতি সেপ্টেম্বরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের (অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক) নিয়ে অনলাইনে আঞ্চলিক একটি সভা করবেন। আর অক্টোবর মাসে দুটি বৈঠক করবেন।

প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তারা বৈঠকে আলোচনা করবেন সংসদ টেলিভিশনের প্রচারিত শ্রেণি পাঠদানের সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রেণি পাঠদানের রুটিন তৈরি করার বিষয়ে। সংসদ টেলিভিশনে শিক্ষার্থীরা যাতে অংশ নেন সে বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করবেন। অনলাইন ক্লাসের সার্বিক কার্যক্রম আলোচনা করবেন। প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলোচনা করবেন। এছাড়া ল্যাবগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচল রাখার বিষয়ে আলোচনা করবেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, আঞ্চলিক সভার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান তার সহকর্মীদের নিয়ে অনলাইন সভা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাক্ষাতে সভা করে অনলাইন শ্রেণি পাঠদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আঞ্চলিক সভার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান অভিভাবকদের সঙ্গে অনলাইনে সভা করবেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহনশীল আচরণ, দৈনিক কাজের রুটিন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য খাদ্য ও পুষ্টি, লেখাপড়া ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র প্রতিনিধির মাধ্যমে (স্টুডেন্ট কেবিনেট, কাব, হলদে পাখি, বিএনসিসি, গার্লস, রেডক্রসিন্টে, রোভার স্কাউট) মত বিনিময় করবেন।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, আঞ্চলিক পরিচালকের উদ্যোগে সব অধ্যক্ষ একসঙ্গে জেলাভিত্তিক সার্বিক বিষয়ে পারস্পারিক মত বিনিময় করবেন। উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসাররা সভায় উপস্থিত থাকবেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান সার্বিক বিষয়ে পারস্পপরিক মত বিনিময় করবেন। উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসাররা সভায় উপস্থিতি থাকবেন।

প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে বিষয় শিক্ষকদের সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাককে সে বিষয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নেতৃত্বে জুম মিটিং বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাক্ষাত মিটিং করে শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, কারিকুলাম বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনা করবেন। মাসে কমপক্ষে একবার এই আলোচনা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং করবেন সে সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যেকোনও সময় প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখবেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *