সমগ্র পাকিস্তানজুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় নেমে এসেছে অরাজকতা। চলছে শিক্ষকদের অভাব। দ্য ডন পত্রিকার খবর অনুসারে সিন্ধু প্রদেশ শুধুমাত্র এই কারণে প্রায় ৬৮৬৬ স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ৩২ হাজার ৫১০ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ১৪ হাজার ৩৯ জন জুনিয়র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। তাতে সেভাবে কাউকে নিয়োগ করা হচ্ছে না। এছাড়াও সিন্ধু প্রদেশ প্রায় ৮ হাজারের কাছাকাছি স্কুল ছুটের সংখ্যা রয়েছে । স্কুল শিক্ষা সচিব শিক্ষা দপ্তর বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও বিশেষ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি । এর আগে শিক্ষাদপ্তর শিক্ষা সচিব কে নির্দেশ দিয়েছিলেন সমগ্র দেশে কতগুলি স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ও সেগুলি পুনরায় খোলা হয়েছে কিনা তা দেখতে।
এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। সিন্ধুর অন্তর্গত লারকানা জেলায় প্রচুর স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা তাদের বেতন নিয়েছেন। যদিও তারা কোনো কাজ করেন নি। স্কুল শিক্ষা সচিব সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন কিছু স্কুল থেকে শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে। বদলির মাধ্যমে কার্যকর বিদ্যালয় আবার খোলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ফলে সেখানকার বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষামূলক কর্মসূচি আবারও চালু হচ্ছে তা বলাই যায়। তবে এসবের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা পাবলিক স্কুলের। তবে শিক্ষা সচিবকে বলা হয়েছে দরিদ্র শিশুরা যাতে বিনামূল্যে ও মানসম্মত শিক্ষা লাভ করতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে। অবশ্য পাক সরকারের তরফ থেকে সদ্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেমন সমগ্র সিন্ধু প্রদেশ ৪৫ লাখ শিশুকে বিনা মূল্যে শিক্ষাদানের প্রস্তুতি। ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বই খাতা প্রদান।