রাজধানীতে করোনা-ভাইরাসজনিত কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গতকাল করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রায় সব শয্যা রোগীতে পূর্ণ ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরো ৩৯ জন কভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যা সাড়ে তিন মাস বা ১০২ দিনে সর্বোচ্চ। এ সময় নতুন ৩ হাজার ৬৩৪ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। এর মধ্যে দুটি হাসপাতালে কোনো আইসিইউ শয্যা নেই। বাকি আটটি হাসপাতালের মোট ১০৮টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে গতকাল ১০৩টিতে রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত আইসিইউ শয্যার সবগুলোই পূর্ণ ছিল। তবে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ১৬টির মধ্যে দুটি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ছয়টির মধ্যে একটি ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫টির মধ্যে দুটি আইসিইউ শয্যা খালি ছিল। রাজধানীর নয়টি বেসরকারি করোনা হাসপাতালের ১৮৮টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ১৪৩টিতে সংকটাপন্ন রোগী ভর্তি ছিলেন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে রাজধানীতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৩ হাজার ৩২৯টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ২ হাজার ৪৬২টিতে রোগী ভর্তি ছিলেন। তবে রাজধানীর বাইরের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ তুলনামূলক কম বলেও জানায় অধিদপ্তর।