চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় গতকালও রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটি। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যারিকেডের কারণে মিছিল বের করতে পারেনি তারা। সমাবেশ থেকে আজ সারা দেশে হরতালের ডাক দেয়া হয়।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, নরেন্দ্র মোদির সফর কেন্দ্র করে দেশ শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। দলটির মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতালে কোনো বাধা দেয়া হলে পরে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা করে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’। এতে অংশ নেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে বাধা না দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকও। তিনি বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানান। সমাবেশ থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা হলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।
হরতালে সমর্থন নেই বিএনপির: স্বাধীনতা দিবসে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে দলটির নেতা-কর্মীরা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেন।
এদিকে বিক্ষোভ করলেও হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দেয়নি বিএনপি।