যত্রতত্র পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যত্রতত্র পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন না করলে কোরবানির পশুর হাট স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার সংক্রমণ চলমান পর্যায়ে নতুন করে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা নিয়ে এসেছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট। কোরবানির পশুর হাট সংক্রমণের হার আরো বাড়িয়ে দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে কার্যকর একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, তাই আমি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আগেই করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, মহাসড়কের ওপর কিংবা পাসের অনুমতি দেয়া যাবে না। অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তে সরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গরিব খেটে খাওয়া মানুষের ফি দেয়ার সামর্থ্য নেই। তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।

তরুণরা করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ ও আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তরুণদের অনেকের মাঝে উদ্বেগহীন চলাচল, সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং জনসমাগমে যাওয়ার প্রবণতার কারণে সংক্রমণ বেশি। তাদের থেকেই পরিবারের জন্য অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছে বা আশঙ্কা রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা ঝুঁকিতে পড়ছে, প্রাণ হারাচ্ছে। তাই আমি তরুণ-যুবকসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।

বেশকিছু এলাকায় নতুন করে লকডাউনের কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার নতুন করে ঢাকা মহানগরের কিছু এলাকাসহ অনেক জেলায় নির্দিষ্ট স্থানে লকডাউন কার্যকর করেছে। যেসব এলাকায় লকডাউন শেষ হয়েছে সেখানে ইতিবাচক ফল এসেছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, যেসব এলাকায় লকডাউন এখন চলমান এবং সামনে আসছে, আপনারা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। সরকারকে সহযোগিতা করুন। এই আপাত বিচ্ছিন্নতা আমাদের সবার কল্যাণের জন্য। সাময়িক এ বিচ্ছিন্ন থাকা দীর্ঘমেয়াদে প্রিয়জনের সান্নিধ্য নিশ্চিত করার জন্য।

দেশে বেশ কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি প্রতিটি বিষয় গভীরভাবে মনিটর করছেন। আমি প্রশাসনের পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে বর্তমান সময়ের সাহসী যোদ্ধা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *