কভিড-১৯ মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো। এর মধ্যে চীন ও ভিয়েতনাম মহামারী পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়েও এগিয়ে গেছে। তবে এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরো কিছু সময় নিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের নতুন একটি পূর্বাভাসে এমনটা বলা হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ।
ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চীন ছাড়া এ অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি অন্তত ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। গত বছর এ হার ছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সে হিসাবে তুলনামূলক পিছিয়ে আছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো। তাদের প্রবৃদ্ধি এখনো মহামারীর আগের সময়ের চেয়ে কম। বিশ্বব্যাংকের ধারণা, এ অঞ্চলে হয়তো ১ শতাংশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ আদিত্য মাট্টো বলেন, টিকার সহজপ্রাপ্যতা ও কার্যকারিতার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য আছে, সেটিই মূলত অসমতার সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ায় টিকা গ্রহণের সংখ্যা খুব কম দেখা যাচ্ছে। সেখানে টিকা গ্রহণ নিয়ে দ্বিধা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
উল্টো দিকে এ অঞ্চলের অর্থনীতি অনেকটা উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল বিশ্বের মতো। তারাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা বা উদ্দীপনা প্যাকেজ পাস করার পর বাজার কেমন চাঙ্গা হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, মার্কিন এই প্রণোদনা প্যাকেজ হয়তো এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিতে ১ শতাংশ প্রভাব বিস্তার করবে। বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে। এশিয়ার রফতানিনির্ভর দেশ, যেমন কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সরকারের পদক্ষেপ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম বাণিজ্য ও ভারী অর্থনীতির নীতি প্রয়োগ করা হলে বরং তা একটি দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।