বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৮ হাজার হেক্টর বেশি

]ভালো দাম পাওয়া এবং নানা ধরনের উপকরণ সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনার কারণে চলতি বছর বোরো ধান আবাদ বেড়েছে। ফলে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭৮ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ বেশি হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে গত বছরের চেয়ে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য উঠে আসে।

[৩] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর বোরো আবাদে জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২০০ হেক্টর। কিন্তু ধানের ভালো দাম পাওয়ার কারণে আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ লাখ ৪ হাজার ৬৩৩ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। ফলে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ বেড়েছে এক লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে।

[৪] গত বছরের তুলনায় এ বছর মোট আবাদ বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর ও হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে।
[১] নাটোরে নকল ইলেকট্রিক তার কারখানাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ≣ [১] গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১০ জন, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ৮০৭ জনের ≣ সীমান্ত সম্মেলনের মধ্যেই লাশ হলেন বাংলাদেশি কৃষক

[৫] চলতি বছর বোরো ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ সহায়তা বাবদ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ বৃদ্ধিতে দেয়া হয়েছে প্রায় ৮৫ কোটি টাকার প্রণোদনা। চাল উৎপাদন বাড়াতে চলতি বছর বেশি জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষের লক্ষ্য ছিল। বোরো ধান আবাদ বিশেষ করে হাইব্রিড ধান আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের ভালো উৎপাদন আশা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

[৬] কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বোরো ধান আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। একই সঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ বছর হাইব্রিড ধান আবাদ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল, সেটিও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আশা করা যায়, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধান উৎপাদন অনেক ভালো হবে। হাওরসহ সারা দেশের ধান সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারলে বোরোতে অনেক ভালো ফলন হবে। শুধু ধান নয়; মাঠে অন্যান্য ফসল উৎপাদন পরিস্থিতিও ভালো অবস্থায় আছে। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।

[৭] সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই ছোট দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি, যা ক্রমে বাড়ছে। অন্যদিকে শিল্পায়ন, নগরায়ণসহ নানা কারণে আবাদি জমি দিন দিন কমছে। এই কম জমি থেকেই আমাদের মূল খাদ্য চাল উৎপাদন করতে হবে, চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। একই সঙ্গে সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চেষ্টা করা হচ্ছে, যা খুবই চ্যালেঞ্জিং। ভুট্টা, আলু, শাকসবজি, তেল, ডাল ও মসলাজাতীয় ফসলের চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা চলছে। কিন্তু জমিস্বল্পতার কারণে একটির আবাদ বাড়াতে গেলে অন্যটি কমে যায়। কাজেই সব ফসলের উৎপাদন অব্যাহত রাখা এবং তা আরো বাড়াতে হলে উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গবেষক-বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সবাইকে অরো মনোযোগী হতে হবে।

[৮] সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফলে জাতীয় গড়ের চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি বেশ ভালো।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *