ছাত্রছাত্রীদের বেতন ও অন্যান্য ফি পরিশোধে অভিভাবকদের কোনো ধরনের চাপ না দেয়ার জন্য মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। তিনি বলেছেন, বেতন ও অন্যান্য ফি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কোনো ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে না, প্রমোশন আটকানো যাবে না।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর রূপনগরে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন। কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন, গভর্নিং বডির সদস্যরা, অভিভাবকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রভাবে আর্থিক সংকটের কারণে যেসব অভিভাবক ছাত্রছাত্রীর বেতন ও ফি পরিশোধ অক্ষম তারা ব্যক্তিগতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর দরখাস্ত করলে তা বিবেচনা করা হবে। অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনে বেতন শতভাগ মওকুফ করা হবে। তবে যেসব অভিভাবক আর্থিকভাবে সচ্ছল, তাদের দরখাস্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেসব ছাত্রছাত্রীর বাসায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নেই, তাদের জন্য পর্যায়ক্রমে ল্যাপটপ প্রদানের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনগণের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভূমিকা রাখছে। তিনি ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয় ও পারস্পরিক যোগাযোগ রেখে করোনাকালে স্কুল ও কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান। শিল্প প্রতিমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন আচরণ ও কাজ থেকে বিরত থাকা এবং কারো প্ররোচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্পদ বিনষ্ট করা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
কামাল মজুমদার মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের যেসব শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান বা অভিভাবকদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনা ফিতে বাড়তি ক্লাস নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।