বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব আবারো স্থগিত

করোনাভাইরাসের থাবায় আবারো স্থগিত হয়ে গেল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব। স্থগিত ম্যাচগুলোই হওয়ার কথা ছিল আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে। মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশেরও। এখন করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আগামী বছরের যেকোনো সময় বাছাইপর্ব করতে চাইছে ফিফা ও এএফসি। গতকাল তারা যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাকি চার ম্যাচ গত মার্চ ও জুনে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। কিন্তু তখন করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করায় খেলার সূচি পেছাতে বাধ্য হয়েছিল এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এএফসি)। অক্টোবর ও নভেম্বরে বাংলাদেশকে ম্যাচগুলো খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। দ্বিতীয় পর্বের এই চারটি ম্যাচ সামনে রেখে কিছুদিন আগেই প্রস্তুতি শুরু করেছে ফুটবল দল।
করোনাভাইরাস ধাক্কা দেয় বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে। জাতীয় দলের ৩০ ফুটবলারের মধ্যে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও। বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতের। যেখানে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছে অর্ধলাখের বেশি মানুষ। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্ব শুরুর আগেই প্রতিবেশী এ দুই দেশের করোনা ধাক্কায় ম্যাচগুলো স্থগিত করলো এএফসি। এএফসি’র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি লক্ষ্য করে কাতার বিশ্বকাপ ও চীনে এশিয়ান কাপের জন্য নির্ধারিত ম্যাচের সূচি পাল্টে ২০২১ সালে নেয়া হয়েছে। ফিফা ও এএফসি যুগ্মভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ আগামী বছর এ চারটি ম্যাচ কবে, কোথায় ও কখন অনুষ্ঠিত হবে এএফসি তা এখনো নিশ্চিত করেনি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ফিফা ও এএফসি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোর জন্য দিন তারিখ ঠিক করবে। সময় হলেই বাছাইপর্বের এ ম্যাচগুলোর সময়সূচি জানানো হবে।’ ৮ই অক্টোবর দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে স্থগিত বাছাইপর্ব শুরু হওয়ার করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। আফগানিস্তান ছাড়াও দেশের মাটিতে ভারত (১২ই নভেম্বর) ও ওমানের (১৭ই নভেম্বর) বিপক্ষে খেলার কথা ছিল। অন্য ম্যাচটি কাতারের বিপক্ষে দোহায় ১৩ই অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। ৪ ম্যাচ খেলে ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে আছে বাংলাদেশ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *