ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করার আগে জম্মু ও কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা ছিল, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মিলে নতুন একটি জোট গঠন করেছে। কাশ্মীরে সক্রিয় প্রভাবশালী প্রায় সব দলই এ জোটে থাকছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের প্রেসিডেন্ট ফারুক আবদুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আবদুল্লাহ জানান, নতুন এ জোটের নাম হবে ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন’। বিশেষ মর্যাদা ফেরাতে জোটবদ্ধ নেতারা দ্রুতই বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন কাশ্মীরের সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে জোটে রয়েছে সদ্য কারামুক্ত মেহবুবা মুফতির দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। আরো আছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই-এম), আওয়ামী ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস কনফারেন্স ও পিপলস মুভমেন্টের মতো দলগুলোও।
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট ফারুক আবদুল্লাহর বাসায় দলগুলোর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, পিপলস কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ লোন, সিপিআই-এমের মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামি, পিপলস মুভমেন্টের জাভেদ মীর, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ‘গুপকার ডিক্লারেশন’ নিয়ে আলোচনা করেন।
গুপকার ডিক্লারেশন হলো জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে সেখানকার মূল ধারার সব আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের যৌথ উদ্যোগ। এসব দলের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, পিপলস কনফারেন্স, আওয়ামী ন্যাশনাল কনফারেন্স ও সিপিআই-এম।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের লড়াই সাংবিধানিক লড়াই। আমরা চাই, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জনগণকে ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের আগের অধিকারগুলো যেন ফিরিয়ে দেয়।’ তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীর সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গেই আলোচনায় বসবেন তারা। এ আলোচনায় ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করা হবে, যা পরবর্তী সময়ে জোটের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে বুধবার ফারুক ও ওমর আবদুল্লাহ সদ্য কারামুক্ত পিডিপি নেতা মেহবুবা মুফতির বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর আগস্টে মেহবুবাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই সময় কাশ্মীরের অসংখ্য রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মুক্তি পাওয়া শেষ গুরুত্বপূর্ণ নেতা মেহবুবা মুফতি।