শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে কদর বেড়ে যায় খেজুর গাছের। তাঁরা এর মধ্যেই খেজুরগাছগুলোর নতুন করে রস তৈরির জন্য উপযোগী করছেন। গাছ থেকে রস সংগ্রহ, গুড় তৈরি; আর রস ও গুড়ের নানা শীতকালীন পিঠা তৈরির ধুম পড়ে আবহমান গ্রাম বাংলায়। সারাবছর অবহেলিত খেজুর গাছগুলোকে ঝুড়ে নতুন রূপ দেন গাছিরা।
[৩] শীতের তীব্রতা দেখা না দিলেও এরই মধ্যে বোয়ালমারী উপজেলায় অনেক গাছি খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
[৪] ময়না গ্রামের গাছি মোফাজ্জল হোসেন সেখ বলেন, ‘খেজুরগাছ অল্প বয়স থেকে রস দেওয়া শুরু করে। ৩০-৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত রস দেয়। তবে গাছ যতই পুরোনো হয়, রস দেওয়া ততই কমে যায়। পুরোনো গাছ রস কম দিলেও পুরোনো গাছের রসগুলো খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়। মাঝ বয়সের গাছ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ রস পাওয়া যায়।’
[৫] তিনি আরও বলেন, রস সংগ্রহের জন্য সাধারণত কার্তিক মাসে খেজুরগাছ পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হয়। অগ্রহায়ণ মাস থেকেই রস পাওয়া যায়। রসের ধারা চলতে থাকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। আবার শীতের সঙ্গে রস ঝরার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। শীত যত বেশি পড়বে, গাছ থেকে রস তত বেশি ঝরবে। এতে রসের স্বাদও ততই মিষ্টি হবে। অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ মাস হলো রসের ভরা মৌসুম। অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত স্থানভেদে একটি খেজুরগাছে মাসে ২০-৩০ কেজি রস পাওয়া যায়।
[৬] বোয়ালমারীর উপজেলা ময়না ইউনিয়ন মুড়াইল গ্রামের রস বিক্রেতা আমাদেরর সময় ডটকমকে বলেন, শীতের শুরুতে রস পাওয়া গেলে দাম অনেক বেশি পাওয়া যায়। আমাদের সংসার চলে রস বিক্রি করে।গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষ এই খেজুর গাছ। গাছি গাছ কাটতে ব্যবহার করেন বিশেষ এক ধরনের লোহা দিয়ে তৈরি দা, দড়ি, আবার দা রাখার জন্য এক প্রকার থলি। প্রথমেই খেজুর গাছ কেটে পরিষ্কার করেন তারা। গাছের ডগা চেছে বাঁশের খিল লাগানো হয়। এরপর শুরু হয় রস সংগ্রহ। চিরাচরিত পদ্ধতিতেই মাটির ভাঁড়ে (কলসি) রাতভর রস সংগ্রহ করা হয়। সূর্য ওঠার আগেই তা আবার গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়। পরে এই রস মাটির হাঁড়িতে কিংবা টিনের তৈরি কড়াইয়ে জ্বালিয়ে বানানো হয় সুস্বাদু পিঠা, পায়েস আর পুলিসহ নানান রকমের পিঠা ও গুড়-পাটালি।
ভাতিজার মাথায় ফুটন্ত ডাল ঢেলে দেয়া সেই চাচা গ্রেপ্তার ≣ [১] দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান ≣ হাসান মোরশেদ: ‘ইন্টেশন’ ছাড়াও গণহত্যা ঘটতে পারে
[৭] তিনি আরও জানালেন, তারা খেজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করেন অর্ধেক রস দিয়ে । প্রতিটি খেজুর গাছের জন্য আধা- আধি রস দিতে হয় গাছ মালিককে ।