বাংলাদেশ নিজ যোগ্যতায় স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। আর আগামীর প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে যোগ্যতা দিয়েই বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হবে। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। শিল্প সচিব কেএম আলী আজমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. ইয়াহিয়া এবং বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. এহছানে এলাহী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) লুত্ফর নাহার বেগম। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাহসী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর এনে দিয়েছে বাঙালির স্বাধীনতা। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের কারণেই শেখ মুজিবুর রহমান হয়েছেন বাঙালির নেতা। বঙ্গবন্ধু ছেলেবেলা থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন। তিনি আজীবন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য প্রতিবাদ, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন শোষণমুক্ত অর্থনৈতিক বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের বিষয়টি উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো উন্নয়নের পথেই আমরা চলছি। বাংলাদেশ চলছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বদরবারে প্রমাণ করেছেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও একটি দেশকে কীভাবে তার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হয়। দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে সারা বিশ্বের মধ্যে তার নেতৃত্বই সেরা। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার দেখানো উন্নয়নের রাজনীতিকে ধরে রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর সিন্ডিকেটরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সব সূচকে আমরা এগিয়ে আছি। দেশে ভারী শিল্প-কারখানা স্থাপিত হচ্ছে। শিল্প পার্ক হচ্ছে। অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশন শিল্পোদ্যোক্তা তৈরি করছে।