পিছিয়ে পড়েও দারুণ জয়ে লিভারপুলের টানা ৬২

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে টানা দুই ম্যাচে জয়হীন। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ৭-২ গোলের লজ্জার হারও। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ফিরতেই জয়ের ধারায় লিভারপুল। শনিবার রাতে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। অ্যানফিল্ডে টানা ৬২ লীগ ম্যাচে অপরাজিত রইলো লিভারপুল।

চলমান লীগে কোন ম্যাচ না জেতা শেফিল্ড ধারার বিপরীতে গিয়ে শুরুতেই লিড নেয়। ৯৫ লীগ ম্যাচ পর ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ভ্যান ডাইকের অভাবটা বুঝতে শুরু করেছে লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে আয়াক্সের বিপক্ষে কোন ভুল না করলেও শনিবার রাতে ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটেই ভুল করে বসলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফাবিনহো। ডিবক্সের উপরে ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা গোলরক্ষক আলিসন বেকারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি সান্দের বের্গ। ২৪তম মিনিটে বেস ওসবর্নের শট ঠেকিয়ে শেফিল্ডকে হতাশ করেন আলিসন।

৪১তম মিনিটে সাদিও মানের অ্যাসিস্টে ম্যাচে সমতা ফেরান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রবার্তো ফিরমিনো। লিভারপুলের জার্সিতে শেষ ২৭ ম্যাচে তৃতীয় গোল করলেন তিনি। ৬৪ মিনিটে সাদিও মানের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ডিয়েগো জোতা। লিভারপুলের জার্সিতে চার ম্যাচে দুই গোল করলেন ২৩ বছর বয়সী পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি শেফিল্ড। ৭৫ মিনিটে আলিসন দুর্দান্তভাবে গোল না বাঁচালে সমতায় ফিরতে পারতো সফরকারীরা। ৮১ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর শট পোস্টে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়েনি।

কঠিন লড়াই করা শেফিল্ডের বিপক্ষে জয় পেতে ঘাম ছুটে গেছে লিভারপুলের। ম্যাচ শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ আমি পছন্দ করি। এরকম কঠিন ম্যাচ জয়ের পর আত্মবিশ্বাস বাড়ে। পরবর্তী ম্যাচগুলোয় যা দারুণ কাজে দেয়।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *