উপজেলার কোল ঘেঁষে প্রবাহিত চাড়াল কাটা ও ধাইজান নদী এখন যৌবন হারিয়ে সংকুচিত হয়ে মরা খালে পরিণত হয়ে পড়েছে।
[৩] বর্ষা মৌসুমে হাজারো মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে যায় ওই নদীতে। মূলত বর্ষা মৌসুমে ১/২ মাস নদীতে পানি থাকে। শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষ করছে ভূমিহীন কৃষকরা।
[৪] অথচ ওই নদী দিয়ে এক সময় পাড়া পাড়ের ব্যবস্থা ছিল একমাত্র বাহন নৌকা। দূর থেকে ভেসে আসত মাঝি-মাল্লার গান। চোখে পড়ত গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের নদীর জলে সাঁতার কাটার দৃশ্য।
২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়লো সাধারণ ছুটি ≣ ইহুদি নারীরাও পরিধান করছে বোরকা! ≣ সড়ক দুর্ঘটনায় পর্বতারোহী রত্নার মৃত্যু, ৭ দিনেও হদিস নেই মাইক্রোবাসের
[৫] উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সেই খর¯্রােত নদীগুলো শুধু বর্ষাকালে কয়েকদিনের জন্য ফুটে উঠে নদীর চিত্র। এখন সেই নদীর তলায় চাষাবাদ হচ্ছে ইরি-বোরো ধান, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, রসুন, পেঁয়াজসহ অনেক ফসল।
[৬] এলাকাবাসী জানান, জলবায়ুর পরিবর্তন আর প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাবের কারণে নদী গুলোর বাস্তব চিত্র সবুজেঘেরা ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে।
[৭] উপজেলার পুটিমারী কালিকাপুর পোড়াকোট গ্রামের আনছারুল জানান, হামার বাপ-দাদার জমি জমা নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে, সেই নদীর তলায় ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ করে বছরে প্রায় ৫/৬মাসের খাবারের সংস্থান হয়।
[৮] সদর ইউনিয়নের যদুমণি গ্রামের দিনমজুর উকিল জানান, আমার কোনও চাষাবাদযোগ্য জমি জমা নেই, এই নদীর চরে বোরো ধান চাষ করে কয়েক মাসের খাবারে সঞ্চয় হয়। এই ধান চাষে বাড়তি সেচ ও পরিচর্যা করতে হয় না, ফলনও ভালো হয়।