নাৎসী বাহিনীর লুকানো ৫০ কোটি ডলারের গুপ্তধন খোঁজার অভিযান শুরু

তারা দক্ষিণ পোল্যান্ডে অবস্থিত অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি প্রাসাদে এই সম্পদের খোঁজে মাটি খুঁড়তে শুরু করেছেন। ডেইলি মেইল

[৩] হিটলারের এসএস বাহিনীর এক অফিসারের গোপন ডায়েরি থেকে জানা গেছে, ৪৮টি ক্রেটে ভরে ১০ টন স্বর্ণ রাখা হয়েছিলো মাটিচাপা দিয়ে।

[৪] ধারণা করা হচ্ছে, হিটলার ফোর্থ রাইখ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করতে এসএস বাহিনীর প্রধান হেইনরিখ হিমলার এই সম্পদ লুট করেছিলেন।
[১] সাতক্ষীরায় পরিবহনের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু, আহত দুই ≣ [১] বাংলাদেশ থেকে স্বল্প ব্যয়ে ‘ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ’ নেবে ভুটান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ≣ মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষার্থীরা ‘টু দি পয়েন্টে’ উত্তর দিতে পারে না

[৫] লুটের মাল লুকানোর পর সেখানেই মাটিচাপা দেয়া হয় ৫ ফরাসী বন্দীকে। স্বর্ণের সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেহাবশেষও পাবেন বলে আশা করছেন ট্রেজার হান্টাররা।

[৬] এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে সাইলেসিয়ান ব্রিজ ফাউন্ডেশন। প্রাসাদ পার্কটি ১৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হলেও গুপ্তধন খুঁজতে হবে খুব অল্প এলাকায়। এসএস অফিসারের ডায়েরিতে যে ইঙ্গিত আছে, তাতে জানা গেছে, প্রাসাদ চত্বরে ফল গাছের জন্যে যে গ্রিনহাউস রয়েছে, সেখানেই লুকানো আছে নাৎসী বাহিনীর ধনরত্ন।

[৭] বিশেষজ্ঞরা অনুসন্ধানের শুরু থেকেই খুব সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। ৫০ কোটি ডলারের স্বর্ণ শুধু নয়, প্যালেস পার্কটি একটি প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবেও স্বীকৃতি পেতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

[৮] একদম শুরুতে আর্কিওলজিস্টরা হাত দিয়ে মাটির উপরিভাগ পরিস্কার করতে শুরু করেছেন। খনন কাজেও তারা সতর্কতা অবলম্বন করবেন, যাতে মাটির নিচে থাকা কোন নিদর্শন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

[৯] গুপ্তধন পাওয়ার ব্যাপারে খুব আশাবাদী সাইলেসিয়ান ব্রিজ ফাউন্ডেশনের রোমান ফার্মানিয়াক। তিনি বলেন, আমরা ঠিক জায়গায় খুঁজছি, এটা নিশ্চিত। কারণে লিনজ মারা যাওয়ার আগে তার সঙ্গে আমরা এনিয়ে অনেক কথা বলেছি।

[১০] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লিনজ এই প্রাসাদেই কাজ করতেন। একগাদা গোপন দলিল দস্তাবেজের মধ্যে একটি ডায়েরি ও ম্যাপ পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই জানা যায়, প্রাসাদ প্রাঙ্গনে লুকিয়ে রাখা ধনসম্পদের কথা। আর এই সম্পদের কথা লিখে লিনজকে চিঠি দেন ভন স্টেইন নামের সেই সিনিয়র এসএস অফিসার, যার সঙ্গে লিনজের প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠেছিলো।
এই ঘটনার সঙ্গে লিনজের এতো নিবিড় যোগাযোগ, সঙ্গতকারণেই তার দেয়া তথ্যের ওপর ভরসা করছেন আর্কিওলজিস্টরা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *