দুই শিক্ষার্থীকে মারধর: মাদ্রাসা শিক্ষকের স্বীকারোক্তি

ঢাকার আশুলিয়ায় মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জাবালে নূর কওমি মাদ্রসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম হোসেন।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে আশুলিয়ায় শ্রীপুরের মধুপুরের ওই মাদ্রাসা থেকে ইব্রাহিম হোসেনকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) টুম্পা সাহা আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় ইব্রাহিম হোসেন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইব্রাহিম হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খানম শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই কওমি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ১০ বছরের দুই শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন ও মাহফুজুর ফুয়াদকে বেত দিয়ে পেটায় শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পিটুনির সেই ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় রাকিবের বাবা ইমদাদুল ইসলাম ১৫ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন।

নির্যাতিত শিক্ষার্থী রাকিব হোসেনের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল ও অপর শিক্ষার্থী মাহফুজুর ফুয়াদ ঝালকাঠি সদর জেলার দেউলকাঠি গ্রামের মাওলানা আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান জানায়, তার সহপাঠী রাকিবুল নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজে নিয়ে এসে মাদ্রাসার ভেতর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় শিক্ষক ইব্রাহিম। এসময় রাকিবুলকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তাকেও বেত্রাঘাত করে জখম করেন ওই শিক্ষক।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *