দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে ইসলামের নির্দেশনা

ইসলামে স্বীকৃত পন্থা হলো বিবাহ করার মাধ্যমে একটি নতুন পরিবারের সৃষ্টি করা। বিবাহ পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে একজন নারী এবং একজন পুরুষ একটি পরিবার তৈরি করেন।

বিবাহ নারী-পুরুষের মধ্যে যেমন পরিবার সৃষ্টিতে অবদান রাখে; তেমনি দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা অনুরাগ সৃষ্টি করে এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন ও শান্তি সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে। পারিবারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সম্পূরক।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের পোশাক এবং তোমরা) তাদের পোশাক’। (বাকারা:১৮৭)

মূলত পরিবার সামাজিক জীবন ব্যবস্থার প্রথম অবকাঠামো। কয়েকজন মানুষকে নিয়ে গঠিত হয় পরিবার। আমরা পরিবার বলতে সাধারণত মা-বাবা, ভাই-বোনসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে গঠিত একটি কাঠামোকে বুঝি।

যে কাঠামোর মাঝে একজন অধিপতি বা কর্তা থাকেন এবং থাকেন বিভিন্ন পর্যায়ভুক্ত সহযোগীরা। হজরত আদম (আ.) এবং বিবি হাওয়া (আ.)-এর মাধ্যমেই পৃথিবীতে পরিবার তথা পারিবারিক জীবনের সূচনা ঘটেছে। তারা দু’জন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিবারের সূচনা করেন।
[১] রাজধানীর বাইরেও বাড়ছে ডেঙ্গুর বিস্তার পাচঁ দিনে আবারও রেকর্ড ভাঙ্গলো ≣ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে সরকারের কাছে ভর্তুকি চান বাস মালিকরা: সড়ক পরিবহণ সচিব ≣ [১] অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পেলেন তিনজন

সুস্থ ও সুখী সামাজিক জীবনের জন্য বিবাহ একটি প্রয়োজনীয় পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন। পবিত্র কুরআনে বিবাহ ও পারিবারিক জীবনকে পারস্পরিক সহমর্মিতা, অন্তরের অনাবিল সুখ ও শান্তির উৎস হিসেবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে। পরিবারের জন্য তারা পরস্পর সম্পূরক।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা (স্ত্রীগণ) তোমাদের পোশাক এবং তোমরা (স্বামীগণ) তাদের পোশাক।’ (বাকারা:১৮৭)

বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবন ও পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়। ইসলামী শরিয়তে এই সম্পর্ক কায়েম করতে হলে যেমন সুনির্ধারিত কিছু বিধান রয়েছে তেমনি প্রয়োজনে এই সম্পর্ক ছিন্ন করতে হলেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে।

কুরআন-হাদিসে সেগুলো অনুসরণ করারও জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি সেই বিধানগুলো মান্য না করা হয় তাহলে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করা হবে, যা একটি মারাত্মক গুনাহ।

সাথে সাথে এই অমান্য করার কারণে জীবনের পদে পদে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এবং অসংখ্য বালা-মুসিবতে নিপতিত হতে হবে, যার বাস্তব নমুনা আমাদের সমাজ জীবনে প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে এবং পেপার-পত্রিকায় সেগুলো শিরোনাম হচ্ছে।

বিশেষত শরিয়ত পরিপন্থী পদ্ধতিতে তালাক প্রদান করে দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটালে যে পেরেশানি ও জটিলতা সৃষ্টি হয় তা বর্ণনাতীত।

তাই পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যেতে হবে। সাধারণ ভুল-ত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে এবং আন্তরিক মনোভাবাপন্ন হতে হবে। আল্লাহ্ সবাইকে তাওফিক দান করুন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *