বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি কমে আজকের মধ্যে বিপৎসীমার নিচে নেমে আসবে। পাশাপাশি বৃষ্টিও দুদিনের মধ্যে কমে যাবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নেই। বাংলানিউজ
তবে ভারী বর্ষণের কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী অববাহিকা এলাকায় হঠাৎ করে বন্যা দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, তিস্তার পানি ডালিয়া স্টেশনে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় ১০৯টি পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে একটির।
তিস্তার পানি আপাতত সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচে নামতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উভয় নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকতার সব নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভারতের দার্জিলিংয়ে ২৩৪ মিলি, জলপাইগুড়িতে ১৫১ মিলি, গ্যাংটকে ১৩০ মিলি বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাবে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৪৮ ঘণ্টা তথা দুই দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায়ের জন্য আবহাওয়ার অবস্থা অনুকূলে আসতে পারে।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯৭ মিলিমিটার। এছাড়াও সারাদেশে কম-বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস জানান, দুটি লঘুচাপ গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। মৌসুমী বায়ু দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।