বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৮ বছরের স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এখন করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেয়ার চিন্তা করছে সরকার বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল সকালে রাজধানীর তেজগাঁও মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের যেকোনো টিকা দেয়া যাবে। তবে এর নিচে যাদের বয়স তাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য দেশে আমরা দেখেছি, বিশেষ করে আমেরিকা ও ব্রিটেনে তারা ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার টিকা দিয়েছে।
জাহিদ মালেক জানান, সরকার সাড়ে ১৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে নতুন করে ছয় কোটি ডোজ টিকার মধ্য থেকে প্রতি মাসে দুই কোটি ডোজ করে আগামী তিন মাসে এ টিকা দেশে পৌঁছাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আরো ১০ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা কেনা হবে। সেইসঙ্গে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় টিকা আসবে।
আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মধ্যে সব টিকা চলে আসবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যত শিক্ষার্থী আছে, শিক্ষক আছে, সবাই টিকার আওতায় চলে আসবে। টিকা পাওয়া গেলে আবার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর চিন্তা করছে সরকার। গেল মাসের শুরুতে টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন তারা ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন।
চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ৮০ ভাগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকাপ্রাপ্তির ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও টিকা নিশ্চিত করা হবে। দেশে বর্তমানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবীর সংখ্যা প্রায় সমান। আমরা লোকবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছি।