চিকিৎসকদের নিম্ন মানের মাস্ক ও পিপিইসহ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে মামলা করার পর জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বলে বণিক বার্তাকে জানান দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের হেফাজতে নেয়ার দুদকের আবেদনে অনুমতিও দিয়েছেন আদালত। কমিশনের উপপরিচালক নুরুল হুদা গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ রাজ্জাকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. নুরুল হুদা আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আবেদনের শুনানি হয়। দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর, মীর আহাম্মদ আলী সালাম শুনানি করেন। আসামিপক্ষের এক আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করতে চাইলেও ওকালতনামায় আসামির সাক্ষ্য না থাকায় তাকে শুনানি করতে দেননি আদালত।
দুদকের দায়ের করা মামলার অন্য আসামিরা হলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) সাবেক উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. শাহজাহান, ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক ও সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার কবির আহমেদ ও জ্যেষ্ঠ স্টোর কিপার মো. ইউসুফ ফকির।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন দুদক কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে চার সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। এরপর ওই সাত আসামিসহ আরো বেশ কয়েকজনকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের অনুসন্ধান টিম। তিন মাস অনুসন্ধান শেষে দুদক মামলাটি দায়ের করল।