জেএমআই চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে দুদকে তলব

সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য মাস্ক ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীসহ (পিপিই) নিম্নমানের স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও তমা কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল তাদের কাছে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষরিত তলবি নোটিস পাঠানো হয়।

যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন, মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশনের সমন্বয়কারী (মেডিকেল টিম) মো. মতিউর রহমান, এলান করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম আমিন, মেডিটেক ইমেজিংয়ের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাটের মালিক মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু।

এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কভিড-১৯-এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত্পূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

নোটিসে মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মতিউর রহমান ও আমিনুল ইসলাম আমিনকে ৮ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়। আর মো. হুমায়ন কবির ও মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে ৯ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়। তারা নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে ওই অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে।

প্রসঙ্গত, দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর নিম্নমানের সুরক্ষা সরঞ্জাম দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন চিকিৎসকরা। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সাধারণ ও নিম্নমানের মাস্ক দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করতে ২১ এপ্রিল একটি কমিটি করার কথা জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে সেই প্রতিবেদনের আলোকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানায়নি মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন চার সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *