জামিন দেননি হাইকোর্ট, চীনের ভুয়া সনদের ডাক্তার পুলিশে

চীনের একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া সনদ দিয়ে দেশে নিবন্ধন নেওয়ার মামলায় ভোলার দৌলতখানের মো. মাহমুদুল হাসানের আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে এ মামলার অন্য আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহিনুর আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ কমিশনের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ছাড়াও চিকিৎসক নিবন্ধন পাওয়া ওই ১২ জনকে আসামি করা হয়।

১২ আসামি হলেন- কুমিল্লার বড়ুরার মো. ইমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতীর তন্ময় আহমেদ, ভোলার দৌলতখানের মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুরের মতলবের মো. মোক্তার হোসাইন, ঢাকার সাভারের মো. আসাদ উল্লাহ, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রহমত আলী, বাগেরহাট সদরের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর দাগনভুঁইয়ার মো. সাইফুল ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জ সদরের মো. আসলাম হোসেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা, জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া এমবিবিএস সনদ ব্যবহারের মাধ্যমে এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন সনদ গ্রহণ করেছেন।

এই ১২ জন বাংলাদেশি ছাত্র চীনের তাইশান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন বলে জানান। তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস সনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন তারিখে বাংলাদেশে ইন্টার্নি অনুশীলন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু রেকর্ডপত্রে দেখা যায় তাদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *