মঙ্গলবার (২৫ মে) আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস বিবিসি বাংলায় জানান, গত ছয় ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড়টি নয় কিলোমিটার গতিতে এগিয়েছে এবং এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করবে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সমুদ্র বন্দরগুলোতে দেয়া হয়েছে দুই নম্বর সতর্কতা
[৩] তিনি বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের পুরো গতিপথ ভারতের উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের দিকে। উপক‚লে আসার পর ভারতের দিকে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের খুলনা এবং সাতক্ষীরা উপক‚লে কিছুটা বৃষ্টিপাত হবে।
[৪] আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে ভোর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে। মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫২০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
[১] ব্যাংকে বোমার ভয় দেখিয়ে যুবকের কাণ্ড ≣ [১] কালীগঞ্জে ধরন্ত শষার ক্ষেত কেটে সাবাড় ≣ [১] মরুভূমিতে কলা চাষ করে সফল সৌদি নারী
[৫] এদিকে কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। ঝড়ো হাওয়ার আকারে এর গতি ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[৬] ঘুর্ণিঝড় আতঙ্কে খুলনার উপকূলীয় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। সাতক্ষীরার পশু নদীর পানি গতকালের তুলনায় আরো বেড়েছে। এতে সাধারণা মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
[৭] কক্সবাজারে সমুদ্র বন্দরে পানির চাপ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে থেকে দুই নম্বর সতর্কতার পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। সৈকতে জনসাধারণ প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।
[৮] বাগেরহাটের নিচু এলাকা ডুবে গেছে। রাস্তার ওপর পানির উচ্চতা প্রায় দুই ফুট। দুই শতাধিক মানুষের ঘরের উঠানে পানি উঠেছে।
[৯] ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় গোটা বরিশাল বিভাগের সকল সাইক্লোন শেল্টারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ চার হাজার ৯১৫ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে প্রায় ৫ হাজার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ২০ লাখের মতো মানুষ এবং কয়েক লাখ গবাদি পশু।
[১০] ভোলার চর অঞ্চল এক থেকে দেড় ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছেন।
[১১] উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাঙ্গাবালী উপজেলার চরআন্ডা, কাউখালী, খালগোড়া বাজার, কোড়ালিয়া, চালিতাবুনিয়া অঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।
[১২] বাড়তি সতর্কতায় বরিশাল জেলায় হাজারের ওপরে এবং ভোলা জেলায় হাজারের ওপরে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীতে ৯০০টির বেশি, পিরোজপুরে ৭০০টির বেশি, বরগুনায় ৬২৯ এবং ঝালকাঠিতে ৪৭৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।