চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গানের জগতে যাত্রা শুরু হয় জেরিন তাসনিম নাওমির। এরপর নতুন গানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পাশাপাশি চলতে থাকে স্টেজ শো। বেশকিছু গানের মাধ্যমেই আলোচনায় আসেন নাওমি। বিশেষ করে ইমরানের সঙ্গে ‘হৃদয়ের সীমানা’ ও ‘আনমনা’, মাহমুদ সানীর সঙ্গে ‘হৃদয়ের গল্প’, আরফিন রুমীর সঙ্গে ‘এতটা ভালোবাসি’, ইবরার টিপুর সঙ্গে ‘তোমায় ভেবে’ গানগুলো প্রশংসিত হয়। এর বাইরে সিনেমায় প্লেব্যাকও করেছেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে তিন গানের ইপি অ্যালবাম ‘এলিভেন্থ আওয়ার’ প্রকাশ হয় এ গায়িকার। সে সময় গানের পাশাপাশি উপস্থাপনা করেও আলোচনায় আসেন নাওমি।
তবে হঠাৎ করেই গান থেকে অনেকটাই দূরে সরে যান তিনি। এটা কি কোনো অভিমানের কারণে? নাওমি বলেন, তার আগে বলে নেই পড়াশোনা ও গানের অস্থির পরিবেশের কারণে আমি অনিয়মিত হয়ে পড়ি। তবে মাঝেমধ্যে জিঙ্গেল ও শো চালিয়ে গেছি। তাছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আমি। অনেকেই মনে করেন অভিমান থেকে দূরে সরে আছি। সেটা আসলে ঠিক নয়। পড়াশোনার চাপ ছিলো। তাছাড়া পরিস্থিতিটাও গান করার জন্য অনুকূল মনে হয়নি তখন। সে কারণেই বিরতিটা নিয়েছিলাম। তবে আমি যেহেতু গানের শিল্পী। আর গান আমার অনেক যত্নের জায়গা। তাই এখান থেকে সরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারছি না। গানের চর্চা আমি নিয়মিতই করছি। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিচ্ছি। নতুন গান নিয়েও চিন্তাভাবনা করছি। এখন গানের পরিস্থিতি কেমন মনে হয়? নাওমি বলেন, আমি এতদিন শুধু অবজার্ভ করেছি। অস্থির সময়ে কাজ করতে চাইনি। কারণ আমার সঙ্গে বিষয়টা যেতো না। এখন যে যার মতো করে গান প্রকাশ করতে পারছেন। অনেক কোম্পানিও ভালো গান প্রমোট করছে। যদিও করোনার কারণে অবস্থা অনুকূলে নেই। তারপরও করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে আমরা ঘুরে দাড়াতে পারবো বলেই বিশ্বাস করি। নতুন গান নিয়ে পরিকল্পনা কি? এ গায়িকা বলেন, আমি যে গানগুলো করেছিলাম সেগুলো কিন্তু শ্রোতারা বেশ ভালোভাবে নিয়েছিল। তাই এবার যখন কাজ শুরু করছি তাই তাদের প্রত্যাশাটা পূরণ করতে চাই। খুব ভালোভাবেই আবার শুরুটা করতে চাই। গান নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই। গানে নিয়মিত কি তাহলে পাওয়া যাবে এখন থেকে? নাওমির উত্তর- আমি যেহেতু একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আর পড়াশোনাটাও চলছে। সে কারণে পুরোপুরি হয়তো গানে সময় দিতে পারবো না। তবে নিয়মিত নতুন গান নিয়ে শ্রোতাদের মাঝে হাজির হতে চাই।