কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা গলিয়ারা দক্ষিণ এলাকার বলরামপুর গ্রামের মৃত কাজী আলী আকবরের ছেলে কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন। আনোয়ারের ২ মেয়ে ১ ছেলে নিয়ে কোন রকম সংসার চলছে।
[৩] ছোট বেলা থেকে আনোরের স্বপ্ন ছিল ভালো ভাবে কৃষি চাষে সফলতা অর্জন করবে। ইউটিউব দেখে কৃষক আনোয়ার কৃষিকাজের যাত্রা শুরু করে, ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেন।
[৪] তার পরে ২০২১ সালে ইউটিউব দেখে ঢাকা গাজীপুর এলাকায় তিন জাতের শশা চাষ করে কি ভাবে সফলতা অর্জন করেছে তা দেখে কৃষক আনোয়ার উৎসাহ হয়ে শশা চাষ করা শুরু করে। প্রথমে তিন জাতের বীজ সংগ্রহ করেন গাজীপুর এলাকা থেকে, বীজের মুল্য হচেছ ১৩ হাজার টাকা ।
[৫] প্রথমে বীজ রোপণ করার পরে চারার আগাছা হওয়ার পরে পাখি খাওয়ার কারনে প্রথম চালান নষ্ট হয়ে যায়। তবে পদ্ধতি পরিবর্তন করে দ্বিতীয় বার আবার বীজ রোপণ করেন, পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে চারাগাছ ভালো ভাবে হইছে। তার পরে ২২০ শতকের জায়গায় শশা চারা গাছ রোপণ করেন, এক মাসের মাথায় শসার ফলন আসতে শুরু করে। শ্রমিক খরচ ও সকল কাজ মিলিয়ে প্রায় ব্যয় হয় ১লাখ ৮০হাজার টাকা।
[৬] তিন জাতের বীজের শশা প্রথম জাত ইস্পাহানি শশা, দ্বিতীয় জাত তানিম প্লাস শশা, তৃতীয় জাত শুকতারা শশা, কৃষক আনোয়ার বলেন তিন জাতের শশার মধ্যে কোন রকম বিষ নাই, বিষমুক্ত শশা চাষ করেছি । নিজের মেধা ও প্রযুক্তি খাটিয়ে শশা ফসলের সাফল্যতা অর্জন করেছি। বর্তমানে তিন জাতের শশা পাইকারিভাবে আমি বিক্রি করছি ৪৫ টাকা, অন্যরা যদি আমার মতো প্রযুক্তি খাটিয়ে কৃষিক্ষেত করেন তাহলে অনেক লাভবান হবেন।
৩ জেলায় ঘণ্টায় ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের শঙ্কা, ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ≣ চলচ্চিত্রকে এফডিসি কেন্দ্রিক করে তোলার উদ্যোগ ≣ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক জনের মৃত্যু
[৭] এই বিষয় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে শসা খেতি সফলতা অর্জন করেছে, তাই উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেনকে ধন্যবাদ। কৃষি অফিস থেকে তাকে সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকি, সেই পরামর্শ অনুযায়ী সে এগিয়ে যাচ্ছে।