দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দিনদিন। ব্যাপকহারে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। করোনা সংক্রমণের ভয় খেলায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদরা।
শুক্রবার (২রা মার্চ) থেকে গেমসের বেশ কয়েকটা ডিসিপ্লিন শুরু হয়েছে। শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে টেবিল টেনিস হচ্ছে। করোনার এই অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পড়ে খেলাটা অসম্ভব মনে করছেন টেবিল টেনিস প্লেয়ার সোনাম সুলতানা সোমা। তিনি বলেন, ‘টেবিল টেনিসে মাস্ক পড়ে খেলা সম্ভব নয়। সব সময়ই মুভমেন্টের মধ্যে থাকতে হয়।’
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন সোমা।
তিনি বলেন, ‘ভয় ও শঙ্কা তো কাজ করেই। এজন্য আমাদের খেলায় প্রভাব পড়াটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গেমসে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাদের করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে গেমসের আয়োজক কমিটি।’
কয়েকটি ডিসিপ্লিন শুরু হলেও করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়াই গেমসে অংশ নিচ্ছেন অনেক ক্রীড়াবিদ। সোনাম এ বিষয়ে বলেন, ‘সবারই উচিত নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে খেলতে আসা। এতে সংশয় দূর হবে। প্রতিপক্ষ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নিজের মনে সন্দেহ থেকে যায়। অভিযোগ উঠার আগেই এ সব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনূর বলেন, ‘আমরা করোনা সতর্কতা মেনেই গেমস আয়োজন করছি। সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন, খেলোয়াড়দের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের মেডিকেল কমিটি প্রস্তুত।’